Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

আনন্দময় কাজের সন্ধ

আনন্দময় কাজের সন্ধানে ক্ষুদ্র হউক, তুচ্ছ হউক, সর্ব সরম- র্ব শঙ্কাহীনকর্ম মোদের ধর্ম বলি কর্ম কর্ম রি রাত্রি দিন। আজকে আমরা যা করছি, তার ওপর নির্ভর কর্ভ রে আমাদের আগামীকাল। কবিতায় যতীন্দ্রমোহন বাগচী তাই কাজকেই বলেছেন ধর্ম। তধর্ম বে পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্মে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ার ধর্মে শর্ত হিসেবে কাজকেই অনিবার্য হিসেবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং নিজের সৌভাগ্যকে ডেকে আনার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। তবে সকল কাজই আমাদের করতে হবে আনন্দ আর স্বতঃস্ফূর্ততা র্ত নিয়ে। শিক্ষাবর্ষ 2024 2 জীবন ও জীবিকা পৃথিবীর কঠিনতম কাজের মধ্যে একটি হলো- পাহাড়ের চূড়ায় ওঠা। মনে করো, পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার প্রতি তোমার প্রবল আগ্রহ; তাই তুমি যদি কখনও পাহাড়ে ওঠার সুযোগ পাও তাহলে দেখবে, সারা দিন বিপজ্জনক পথে পাড়ি দেওয়ার পরও সাফল্যের উত্তেজনায় কষ্টটা মনে থাকছে না। বরং পরদিন সকালে উঠে আবারও পাহাড়ের কঠিন বরফ আর হিমবাহ ঠেলে ঠিকই লক্ষ্যে পৌঁছানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছ। পাহাড়ে ওঠার এত শারীরিক পরিশ্রম সত্ত্বেও কোনো ক্লান্তি বা অবসাদ তোমাকে স্পর্শ কর র্শ তে পারছে না! অর্থা ৎ কাজের প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শরীরকে যেকোনো কষ্ট সহ্য করার জন্য প্রস্তুত করে তোলে। তাই কাজের ব্যস্ততা ও কঠোর পরিশ্রমের পর দিনশেষে কখনই বলা যাবে না, খুব ক্লান্তি লাগছে; বরং নিজেকে বলতে হবে- ‘আমি মোটেই ক্লান্ত নই!’ এতে প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী ধীরে ধীরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং মনের অবসাদ দূর হবে। ‘নিজ হাতে করি কাজ, নেই তাতে কোনো লাজ’- এই চরণটি আমাদের সবার মনে আছে, তাই না? আমরা সবাই বিশ্বাস করি- নিজের হাতে কাজ করলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবারে সুখ-শান্তিও বিরাজ করে। একইভাবে বিদ্যালয়ের পরিবেশকে সুন্দর ও আনন্দদায়ক রাখার জন্য আমাদের যা কিছু করণীয়, সেগুলো নিয়মিত করলে বিদ্যালয়ে কাটানো সময়টুকু আমাদের জন্য আশীর্বা দ হয়ে উঠবে। এভাবেই ছোট পরিসরে নিজের ওপর অর্পিত দা র্পি য়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ আচরণে অভ্যস্ত হয়ে উঠব। ব্যক্তি হিসেবে সমাজে তখন আমাদের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাবে; এই প্রয়োজনের কারণেই একসময় আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। আমরা সবাই এই পথেই হাঁটতে চাই! ছক ১.১: ফিরে দেখা যেসব ‘নিজ কাজ’ আমি নিয়মিত করি যেসব ‘পারিবারিক কাজ’ আমি নিয়মিত করি বিদ্যালয়ের যেসব কাজ আমি নিয়মিত করি সমাজের যেসব কাজ আমি নিয়মিত করি অভিভাবকের মতামত ও স্বাক্ষর: নিয়মিত কাজগুলো করতে গিয়ে আমি যা অনুভব করছি শিক্ষাবর্ষ 2024 3 আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি, পারিবারিক কাজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হ র্ণ লো আর্থিক কা র্থি জে সহায়তা করা। আমরা বিভিন্নভাবে পরিবারকে আর্থিক কা র্থি জে সহায়তা করতে পারি; যেমন: নিজের পোশাক দোকানে না পাঠিয়ে নিজেই ইস্ত্রি করলে কিছু ব্যয় কমে, পরিবারের বিভিন্ন কাজ নিজে করলে গৃহকর্মী বাবদ খরচ কমে যায়, অল্প দূরত্বের রাস্তা হেঁটে খরচ বাঁচানো যায়; কিংবা অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা বন্ধ করলেও কিছু খরচ কমে। এর ফলে কিছু অর্থ সঞ্চয় হয়, অ র্থ র্থা ৎ তাতে পরিবারের আর্থিক সহায়তা হয়। এ র্থি ছাড়া আরও কিছু কাজ রয়েছে, যেমন: পোশাকে নকশা/ডিজাইন করা, পিঠা/আচার/নাশতা জাতীয় খাবার/কারুপণ্য/কার/গয় ্ড না ইত্যাদি তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করা, গৃহস্থালি বর্জ্য থেকে সার তৈরি ও বিক্রয়, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট তৈরি, বাড়ির পুরোনো জিনিসের যথাযথ/পুনঃর্ব্যবহার, গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া ইত্যাদি ধরনের কাজের মাধ্যমে আমরা পরিবারের আয়ে অবদান রাখতে পারি বা আর্থিকভা র্থি বে সহযোগিতা করতে পারি। সপ্তম শ্রেণিতে আমরা পারিবারিক আয় বৃদ্ধিমূলক কাজের পরিকল্পনা করেছি এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী তা বাস্তবায়নের উদ্যোগও গ্রহণ করেছিলাম। এ বছরও আমরা একটি পরিকল্পনা করব এবং তা বাস্তবায়ন করব। তুমি তোমার পরিবারের যেসব কাজে সহযোগিতা করো, সেখান থেকে আর্থিক কাজগু র্থি লো শনাক্ত ক

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি