Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৭:০২ অপরাহ্ণ

শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন এপ্রোচ

🇧🇩শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন এপ্রোচ (কখন ও কীভাবে)🇧🇩

   কারিকুলাম ২০২২ অনুযায়ী শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন মূলত শিখনযোগ্যতার পরিবর্তনের শিখনকালীন ও নির্দিষ্ট সময় শেষে সামষ্টিক নির্দিষ্ট যোগ্যতা অর্জনের একটি চিত্র গঠন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে পরিচালনা করা হবে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সরলরৈখিক নয় । প্রচলিত নম্বর পদ্ধতি থেকে বের হয়ে এসে শিক্ষার্থীর শিখন যোগ্যতার মূল্যায়ন ফলাফল হবে বর্ণনামূলক যা সহজে শিক্ষার্থীর অর্জিত সামর্থের পরিচিত করাবে। সমগ্র নিচের ধাপগুলো রয়েছে :

ধাপ:১-মূল্যযাচাই পর্ব (শিখনকালীন ও সামষ্টিক) পরিচালনা ও উপাত্ত সংরক্ষণ। 

ধাপ:২- উপাত্ত বিশ্লেষণ ও ফলাফল গঠন। 

ধাপ:৩- ফলাফল প্রকাশ বা প্রেরণ। 

     নম্বরভিত্তিক না হয়ে বর্ণনামূলক ফলাফল হওয়ার কারণে ধাপ-২ একটি জটিল কষ্টসাধ্য প্রক্রিয়া। এই ধাপের কার্যক্রম নৈর্ব্যক্তিক হওয়া জরুরী, অন্যতায় শিক্ষার্থীরা বঞ্চনার শিকার হতে পারে। শিক্ষার্থী সংখ্যা (প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ) এই ধাপ টিকে  আরোও জটিল করে তুলেছে। তাই এই ধাপের কাজটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন অ্যাসেসমেন্ট সিস্টেম (কম্পিউটার প্রোগ্রামের) মাধ্যমে করা হবে। 

 ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ধাপ-২ এর মূল দায়িত্ব এই কেন্দ্রীয় অ্যাসেসমেন্ট সিস্টেম পালন করবে।

ধাপ-১এর সম্পূর্ণ এবং ধাপ৩ এর আংশিক শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের উপর ন্যস্ত হবে। ফলে, শিক্ষকদের কাজের বোঝা লাগব হবে এবং মূল্যায়নকে শিখন প্রক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক অনুষঙ্গ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। শিখন প্রক্রিয়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই আনন্দমুখর হবে।

আরো দেখুন