Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৭:২৩ অপরাহ্ণ

জেনে রাখুন , ডিমের গায়ে ফাটল থাকলে যা করবেন।

ডিম খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। খুব দ্রুত ডিম রান্না করা যায়। বিভিন্ন রান্নায় এবং সকালের নাস্তায় প্রচুর ব্যবহৃত হয়। তবে ডিম কিন্তু সহজেই ভেঙে যায়।

বাজার বা সুপারসপ থেকে কিনে আনার সময় আমাদের খুব সাবধানে আনতে হয়। সব সময় তো সাবধানে থাকা যায় না, ধরুন হাত থেকে পড়েই গেল ডিমের ব্যাগটা। কিছু ডিম ফেটে কুসুম বের হয়ে গেছে আবার কিছু ডিমে ফাটল ধরেছে কিন্তু কুসুম বের হয়ে আসেনি, তখন কী করবেন? একসাথে ভেজে ফেলবেন নাকি ফ্রিজে রেখে পরেও খেতে পারবেন? চলুন সেটাই জেনে নিই।
খাওয়া যাবে?

পাখি বা মুরগিরা সাধারণত একই জায়গায় মল ত্যাগ করে এবং ডিম পাড়ে। বাজারে আসার আগে যেহেতু ডিম ধুয়ে আনা হয় না, সেহেতু স্যালমোনেলার ​​মতো খাদ্যজনিত রোগজীবাণু ডিমের খোসায় লেগে থাকার সম্ভাবনা বেশি। তাই যদি খোসায় ফাটল থাকে তাহলে এসব ব্যাকটেরিয়ার জন্য ডিমের ভেতর প্রবেশের দরজাটি সহজ হয়ে যায়। এজন্যই যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ফাটা বা চিড় ধরা ডিম এড়িয়ে চলতে বলেছে। বিষেশ করে কেনার সময় যদি দেখেন ডিমে ফাটল তবে এড়িয়ে যান।

ডিম ফেটে গেলো কিন্তু বের হলো না তখন কী হবে?

স্যালমোনেলার ​​মতো ব্যাকটেরিয়া ফাটা খোসা ভেদ করে প্রবেশ করতে পারে। এমনকি ডিমের আসল অংশগুলো বেশ ভিতরে থাকলেও।

দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে যদি ডিম ফেটে যায়? খেতে পারবেন?

আপনি যদি দোকান থেকে ডিম অক্ষত অবস্থায় কেনেন এবং আসার সময় পড়ে গিয়ে ফাটল ধরল সেক্ষেত্রে খাওয়া নিরাপদ হতে পারে। এক্ষেত্রে দ্রুত ডিম খোসা থেকে বের করে অন্য পাত্রে বা বক্সে রাখুন। দুইদিনের মধ্যে সেটা খেয়ে ফেলুন। সবচেয়ে ভালো দ্রুত খেয়ে ফেলা। এছাড়া আপনি ফাটা ডিমটি ভেঙ্গে অন্য পাত্রে রেখে ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারেন। সেক্ষেত্রে ১২ মাস পর্যন্ত ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারবেন।

এ ধরনের ফাটা ডিম খাওয়ার ঝুঁকি কি?

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, দূষিত ডিম খেলে ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা এবং জ্বরের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যাইহোক, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, ৬৫ বছরের বেশি বয়সী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এটি মরাত্বক হতে পারে এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে।


আরো দেখুন