Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০২:১১ অপরাহ্ণ

‘সমালোচনা এড়াতে’ পাঠ্যপুস্তক প্রস্তুতে বিলম্ব কমানো প্রসঙ্গে

প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই প্রস্তুত হলেও অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই পেতে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত।বছরের শুরুর দিন শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই তুলে দেওয়ার রীতিতে কোভিডকালে যে ছেদ পড়েছিল, তা থেকে এবারও বের হতে পারছে না জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবি।

প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যের পাঠ্যবই প্রস্তুত হলেও অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই পেতে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত।

এনসিটিবি বলছে, অষ্টম ও নবম শ্রেণির বইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রস্তুতে সময় লাগায় বই মুদ্রণে যেতে দেরি হয়েছে। এ দুটি শ্রেণিতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ফলে তৈরি করতে হচ্ছে একেবারে নতুন বই।

২০২৩ সালে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরুর পর পাঠ্যবই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় পড়তে হয়েছে এনসিটিবিকে। এবার সে বিষয়টি মাথায় রেখেই বাড়তি নজর দিতে গিয়ে পাণ্ডুলিপি ছাপাখানায় পাঠাতে দেরি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা।এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম আশা করছেন, ১০ জানুয়ারির মধ্যেই শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পাবে। তবে সব বই প্রস্তুত হতেই জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যাবে বলে জানাচ্ছেন ছাপাখানা মালিকরা।

২০১০ সালে বছরের প্রথম দিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া শুরু করেছিল সরকার।মহামারীর কারণে ছাপার কাজ শেষ না হওয়ায় ২০২১ সালে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে বই পায়নি। ২০২২ ও ২০২৩ সালেও সব বই পেতে অনেক শিক্ষার্থীকে মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।

নতুন শিক্ষাবর্ষে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি বই বিতরণ করবে এনসিটিবি। এর মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় অষ্টম শ্রেণিতে ৫ কোটি ৩৪ লাখ ও নবম শ্রেণিতে ৫ কোটি ৬ লাখ বই বিতরণ করা হবে।

এ পর্যন্ত অষ্টম শ্রেণির ৭০ শতাংশ ও নবম শ্রেণির ৫৫ শতাংশ বই প্রস্তুত করে পাঠানো হয়েছে বলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম জানিয়েছেন।

আরো দেখুন