প্রধান শিক্ষক
২৭ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ০৪:৩৫ অপরাহ্ণ
থাকছেনা পরীক্ষা তাহলে কিভাবে হবে মূল্যায়ন
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: সপ্তম
বিষয়: গণিত
অধ্যায়: দ্বিতীয় অধ্যায়
থাকছেনা পরীক্ষা তাহলে কিভাবে হবে মূল্যায়ন
গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থার সাধারণ মূল্যায়ন পদ্ধতি হচ্ছে পরীক্ষা, যেখানে পরীক্ষার নাম্বার দিয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতার মূল্যায়ন করা হতো। এ কারণে পরীক্ষাভিত্তিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীরা শিখার চেয়ে পরীক্ষার নাম্বারের প্রতি বেশি মনোযোগ দিতো। তবে নতুন কারিকুলামে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটি এসেছে এই মূল্যায়ন পদ্ধতিতে। শিখনকালীন ও সামষ্টিক এই দুটি পর্যায়ে সম্পন্ন হবে নতুন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া। নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকছে না, তবে এর উপরের শ্রেণিতে পরীক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হচ্ছে শিখনকালীন ধারাবাহিক পদ্ধতিতে। অর্থাৎ বিষয়-শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের সারা বছর ধরে অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক কাজ, প্রকল্পভিত্তিক শিখনচর্চা, খেলাধুলা, গ্রুপ ওয়ার্ক, কুইজ, পোস্টার প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করাবেন এবং তাদের কাজের মূল্যায়ন করবেন।
প্রাক্-প্রাথমিক-তৃতীয় শ্রেণি
নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুসারে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকছে না। বিদ্যালয়েই শ্রেণিশিক্ষকেরা ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার্থীর
শিখন অগ্রগতি মূল্যায়ন করবেন।
চতুর্থ-পঞ্চম শ্রেণি
চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান—এই পাঁচ বিষয়ের ওপর ৬০ শতাংশ শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং ৪০ শতাংশ সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। সিলেবাস শেষে পরীক্ষার মাধ্যমে যে মূল্যায়ন, সেটাকেই বলা হচ্ছে সামষ্টিক মূল্যায়ন। এ বিষয়গুলো ছাড়া বাকি তিনটি বিষয়—শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা এবং শিল্পকলা এগুলোর শতভাগ মূল্যায়ন শিখনকালীনই করা হবে।
ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণি
ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান—এই পাঁচ বিষয়ের ওপর শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৬০ শতাংশ এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া বাকি চারটি বিষয় জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ে শিখনকালীন শতভাগ মূল্যায়ন করা হবে।
নবম-দশম শ্রেণি
নবম ও দশম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান—এই পাঁচ বিষয়ের ওপর ৫০ শতাংশ শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বাকি ৫০ শতাংশ সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে। এ ছাড়া বাকি তিনটি বিষয় জীবন ও জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ে শতভাগ মূল্যায়ন করা হবে। দশম শ্রেণি শেষে দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপর পাবলিক পরীক্ষা হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের অধীন বর্তমান এসএসসি পরীক্ষার আদলে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ পরীক্ষার নাম পরিবর্তন হতে পারে।
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এই তিনটি আবশ্যিক বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন ৩০ শতাংশ এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন ৭০ শতাংশ। নৈর্বাচনিক বা বিশেষায়িত বিষয়ে কাঠামো এবং ধারণায়ন অনুযায়ী হবে সামষ্টিক মূল্যায়ন। পাশাপাশি প্রকল্পভিত্তিক, ব্যবহারিক ও অন্যান্য উপায়ে শিখনকালীন মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে। প্রায়োগিক বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ।