Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৪ মার্চ, ২০২৪ ০৮:৫৮ অপরাহ্ণ

শহীদ বুদ্ধিজীবী এস এম এ রাশীদুল হাসান

বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী এস এম এ রাশীদুল হাসান (১৯৩২-১৯৭১)। জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার বড়শিজা গ্রামে। পড়াশোনা করেন মুর্শিদাবাদ জেলার ভাবতা আজিজিয়া মাদরাসায়। তিনি ঢাকা ইসলামিয়া ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ (১৯৪৯ সালে), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে বিএ অনার্স (১৯৫২ সালে) এবং এমএ ডিগ্রি (১৯৫৪ সালে) লাভ করেন।নরসিংদী কলেজে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে তিনি পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ এবং কলকাতার কৃষ্ণচন্দ্র কলেজে শিক্ষকতা করেন। সর্বশেষ তিনি ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে সিনিয়র প্রভাষক পদ লাভ করেন।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে রাশীদুল হাসান ঢাকায় অপারেশনরত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। বিষয়টি পাকিস্তানি গোয়েন্দা বাহিনীর গোচরীভূত হলে ১২ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানি আর্মি তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ১২ দিন পর তিনি মুক্তি লাভ করেন। এর পর থেকে নিরাপত্তাহীনতার কারণে রাশীদুল হাসান তাঁর পরিবারসহ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আনোয়ার পাশার (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরেক শিক্ষক) বাসভবনে থাকতেন।১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এ দেশীয় সহযোগীরা আনোয়ার পাশা ও তাঁকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে যায়। ২২ দিন পর অন্য বুদ্ধিজীবীদের মৃতদেহের সঙ্গে তাঁর লাশ ঢাকার মিরপুরের বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়। ১৯৯১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের ডাক বিভাগ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এস এম এ রাশীদুল হাসানের নামে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করে।  

আরো দেখুন