Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

১০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:৩৬ অপরাহ্ণ

এসডিজি-৪ বাস্তবায়ন, মানসম্মত শিক্ষা

এসডিজি-৪ বাস্তবায়ন, মানসম্মত শিক্ষা 

কার্যকর শিক্ষা এবং প্রাসঙ্গিক জ্ঞান, দক্ষতা এবং দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করা ; বহুবচন এবং আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে শালীন কাজের পাশাপাশি বৈশ্বিক নাগরিকত্বের জন্য বৃত্তিমূলক এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা নিশ্চিত করা।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বেশকিছু কৌশলগত নীতি এবং উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি কর্মসূচি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন গোষ্ঠি এবং অন্যান্য পশ্চাদপদ শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সম্পদ বরাদ্দ, সামাজিকভাবে অনগ্রসরদের অন্তর্ভুক্তির জন্য ব্যক্তিখাত/বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারকরণ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় অধিকতর সুবিধা নিশ্চিত করতে বৃত্তি কর্মসূচির সম্প্রসারণ, দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং সর্বজনীনতা নিশ্চিতকরণ।
যে সব উদ্ভাবনমূলক পদ্ধতি ও উপায় গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে শিখন প্রক্রিয়ায় তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ, ইন্টারেক্টিভ ক্লাস, উন্মুক্ত এবং দূর শিক্ষা পদ্ধতির ব্যবহার, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে এবং ভর্তির হার বৃদ্ধি করতে এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করেছে। শিশুদের শৈশবে মাতৃভাষায় শেখার অধিকারের বিষয়টি মাথায় রেখে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক বই প্রকাশ করেছে।
এরফলে ২০১৬ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং ঝড়ে পড়ার হার ২০ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে,বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বছরের প্রথম দিনেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ এই সাফল্যের পেছনে কাজ করেছে। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে আমরা ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করেছি। এটা বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ বই বিতরণ কার্যক্রম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা সামাজিক অন্তর্ভুক্তি সমর্থন করে, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা হ্রাস এবং তাদের ক্ষমতায়নে সাহায্য করে।
তিনি বলেন, আমাদের স্যানিটেশন, পানি, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য এবং শিখন ফলাফলের উপর এর একটা ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। বিদ্যালয়ে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে পঠন শিক্ষাকে সহজ করবে, শিক্ষার্থীদের দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাবে এবং নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাদের খাপ খাওয়াতে সাহায্য করবে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রসংগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ এবং সশস্ত্র সংঘাত আজকের বিশ্বে মানবাধিকার, শান্তি এবং স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। উদ্ভাবন, সমঝোতা এবং দূরদর্শী নীতির দ্বারা এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। এসব বিষয়কে সামনে রেখে আমরা আমাদের শিক্ষাক্রম ও শিক্ষা উপকরণ সংস্কার করছি।
শিক্ষকদের পেশাগত মানোন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষকতা পেশায় যোগ্য ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পেশার জন্য একটি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে নীতিগত উপায় উদ্ভাবন এবং বিশেষ প্রণোদনার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে শিক্ষা আমাদের কাছে একটি জাতীয় অগ্রাধিকারের বিষয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নতুন দেশের জন্য সর্বজনীন শিক্ষাসহ বেশকিছু বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ঐসব দূরদর্শী উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমতাভিত্তিক মানসম্পন্ন শিক্ষা ও জীবনব্যাপী শিখনের লক্ষ্য অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের বাজেট বরাদ্দে শিক্ষাখাত সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়ে থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি- এই বৈঠক থেকেই এসডিজি-৪ অর্জনের জন্য আমাদের অভিযাত্রা শুরু হল এবং ঢাকা ঘোষণা আমাদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে প্রতীয়মান হবে। বিদেশি অতিথিবৃন্দের এখানে অবস্থান আনন্দদায়ক এবং স্মরণীয় হয়ে থাকুক, এ প্রত্যাশা করছি।