প্রধান শিক্ষক
১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:২১ অপরাহ্ণ
গরমের জ্বর
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: সপ্তম
বিষয়: স্বাস্থ্য সুরক্ষা
অধ্যায়: দ্বিতীয় অধ্যায়
#গরমের জ্বর!
মাত্রাতিরিক্ত এই গরমে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন প্রকারের জ্বর। এই জ্বরের চিকিৎসা হিসাবে সমানে সবাই এন্টিবায়োটিক খেয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে ভবিষ্যতে যা হওয়ার তাই হবে। বিভিন্ন গবেষণার মতে দেখা যাক কি কি কারণে জ্বর হচ্ছে?
১। এন্টারোভাইরাসের জ্বর: সবচেয়ে কমন জ্বর হচ্ছে এই গরমের এই ভাইরাস জনিত জ্বর। জ্বর সাধারণত ১০১° - ১০৪° পর্যন্ত হবে। সাথে সারা শরীরে ব্যথা,মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা ও বমি এবং বমি ভাব। এই জ্বর থেকে টাইফয়েডের জ্বর পার্থক্য করা যেতে পারে, টাইফয়েড জ্বর হঠাৎ ১০৪° হবেনা। ভাইরাসের জ্বর ৪/৫ দিন পরে কমে যাবে। যেহেতু ভাইরাসের জ্বর এতে কোন প্রকার এন্টিবায়োটিক দরকার নাই।
২।Summer Cold, গরমে ঠান্ডা! গরমের জ্বালায় অতিষ্ঠ, আবার সর্দি-জ্বর বা ঠান্ডা লাগবে কেন? এটা শীতেই লাগার কথা।গ্রীষ্মকালীন ঠান্ডা বা সর্দি। , সাধারণ সর্দি-কাশি শুধু শীতেই হওয়ার কথা। গরমে কেন ঠান্ডা লাগবে? তবে হবে।
গ্রীষ্মের সর্দি-কাশির সাধারণ উপসর্গ হল ঠান্ডা, চোখ লাল হওয়া হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা চুলকানো, কাশি, কখনও কখনও জ্বর। বিশেষজ্ঞরা বলেন, গ্রীষ্মকালীন শুষ্ক বাতাসে রাইনোভাইরাস ভাইরাস বেশি উড়ে বেড়ায়। এটা ও ৩/৪ দিন পর ভালো হয়ে যাবে। যেহেতু ভাইরাসের জ্বর এখানে ও কোন এন্টিবায়োটিক লাগবে না।
৩। জল বসন্ত : এটাও ভাইরাস জনিত রোগ। জ্বরের সাথে এখানে বসন্ত বা ফোসকা থাকবে। এখানেও কোন এন্টিবায়োটিক লাগবে না।
৪। হাম: ভাইরাস জনিত রোগ। জ্বরের সাথে নিদ্রিষ্ট ভাবে লাল লাল রেশ থাকবে। ভাইরাসের রোগ তাই কোনো প্রকার এন্টিবায়োটিক লাগে না।
৫। মাম্পস : ভাইরাস জনিত রোগ। জ্বরের সাথে প্যারোটিড গ্রন্থি ফুলে যাবে। ভাইরাস জনিত রোগ কোন এন্টিবায়োটিক লাগবে না।
ফুড পয়জনিং, স্টোমাক ফ্লো, টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, ডেংগু, নিউমোনিয়া ও প্রশ্রাবের ইনফেকশন ও এই গরমে হতে পারে। সেই সবের বিশেষ বিশেষ চিকিৎসা আছে। এন্টিবায়োটিক ও দরকার আছে।