Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

রিসেট

০২ আগস্ট, ২০২৪ ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ

শ্রমের চাহিদা (Demand for Labour)

একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত মজুরিতে নিয়োগকারীগণ যে পরিমাণ শ্রমিক নিয়োগ করতে ইচ্ছুক থাকে তাকে শ্রমের চাহিদা বলে। একটি দেশে সকল নিয়োগকারী একত্রে যে মজুরিতে যে পরিমাণ শ্রমিক নিয়োগ করতে ইচ্ছুক; সে পরিমাণ শ্রমকে দেশের মোট শ্রমের চাহিদা বলে।


শ্রমিক উৎপাদনে সাহায্য করে। তাই তার উৎপাদনশীলতা থেকে শ্রমের চাহিদার উৎপত্তি হয়। এজন্য শ্রমের চাহিদা হলো উদ্ভুত চাহিদা (Derived demand)। শ্রমের উৎপাদনশীলতা যত বেশি হয় নিয়োগকারীর কাছে শ্রমের চাহিদাও তত বেশি হয়। এ জন্য নিয়োগকারীর কাছে শ্রমের চাহিদা-দাম তথা মজুরি কখনই তার প্রান্তিক উৎপাদন মূল্যের চেয়ে বেশি হয় না। উৎপাদনক্ষেত্রে ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি কার্যকর থাকায় নিয়োগকারী ততক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিক নিয়োগ করে, যতক্ষণ মজুরি কমে, শ্রমিকের প্রান্তিক উৎপাদন মূল্যের সমান না হয়। সুতরাং শ্রমিকের প্রান্তিক উৎপাদন মূল্য তালিকার সাহায্যে শ্রমের চাহিদা রেখা পাওয়া যায়। যেহেতু শ্রমিকের অধিক প্রান্তিক উৎপাদন মূল্যে অধিক মজুরি ও কম প্রান্তিক উৎপাদন মূল্যে কম মজুরি দেয়া হয় এজন্য শ্রমের চাহিদা রেখা বামদিক থেকে ডানদিকে নিম্নগামী। নিচে শ্রমের চাহিদা রেখা অঙ্কন করা হলো।

পাশের চিত্রে ভূমি (X) অক্ষে শ্রমের চাহিদা (L) এবং লম্ব (Y) অক্ষে শ্রমের মজুরি (W) পরিমাপ করা হয়েছে। মজুরি যখন W₁. W₂ ও W, তখন শ্রমের চাহিদা যথাক্রমে L. (p বিন্দু দ্বারা নির্দেশিত), L₂ (q বিন্দু দ্বারা নির্দেশিত) এবং L3 (r বিন্দু দ্বারা নির্দেশিত) হয়। এখন p. q ও বিন্দুগুলো যোগ করলে শ্রমের চাহিদা রেখা D₁ পাওয়া যায়।

মজুরির সাথে শ্রমের চাহিদার বিপরীত সম্পর্ক থাকায় D₁ রেখাটি বামদিক থেকে ডানদিকে নিম্নগামী হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শ্রমের চাহিদা আর্থিক মজুরির ওপর নির্ভরশীল হলেও বাস্তবে তা প্রকৃত মজুরির ওপর নির্ভরশীল। আর্থিক মজুরিকে গড় দাম তথা দামস্তর দিয়ে ভাগ করলে প্রকৃত মজুরি পাওয়া যায়। প্রকৃত মজুরি কম হলে নিয়োগকারীর নিকট শ্রমিক নিয়োগের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। আবার প্রকৃত মজুরি বেশি হলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায় ফলে শ্রমিক নিয়োগের চাহিদা কমে যায়। তাই প্রকৃত মজুরির সাথে শ্রমের চাহিদার সম্পর্ক ঋণাত্মক বা বিপরীত হয়। সেজন্য শ্রমের চাহিদা রেখা ডানদিকে নিম্নগামী হয়।

মন্তব্য করুন

সম্পর্কিত পোস্ট