Loading..

খবর-দার

২২ নভেম্বর, ২০১৮ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে বিজ্ঞান সম্মত যুগপোযোগী শিক্ষা প্রয়োজনঃ

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে বিজ্ঞান সম্মত যুগপোযোগী শিক্ষা প্রয়োজনঃ আধুনিক যুগে পাঠদান পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত যুগপোযোগী হতে হবে। বহুকাল ধরে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পুস্তক পাঠ ও বক্তৃতা পদ্ধতি ছিল পাঠদানে মূল সূত্র। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমানে বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষাদানের জন্য নানা কৌশল আবিষ্কৃত হয়েছে, সেই কৌশলগুলো প্রয়োগ করে যথাযথভাবে শিক্ষককে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। বর্তমান শিক্ষাদান পদ্ধতি হাতে-কলমে উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে করতে হয়। বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে শিক্ষক নিজেই উপকরণ তৈরি করে শিক্ষাদান কার্য পরিচালনা করবেন। শিক্ষকতা হলো এক ধরনের সৃষ্টিধর্মী প্রক্রিয়া, শিক্ষকতা কোন যান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যভিত্তিক কর্মপরিচালনার সময় শিক্ষককে যান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হলে চলবে না। শিক্ষকের নিজস্ব বুদ্ধি-বিবেচনা ও চিন্তাশক্তি প্রয়োগের অবকাশ থেকে যায়। শিক্ষকতা তখনই সার্থক ও সফল হবে যখন শিক্ষার্থীর শিখন হয় সহজ ও স্বতঃস্ফূর্ত। মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকের মতো কলেজ শিক্ষকদেরও বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষায় এম,এড ডিগ্রি অর্জন করা উচিত। কারণ ভালো শিক্ষক হতে হলে এবং উত্তম ও যুগোপযোগী শিক্ষাদান করতে হলে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। জন্মগতভাবে ভালো শিক্ষকের সংখ্যা অতি নগণ্য। অথচ শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং অভিজ্ঞ শিক্ষক ছাড়া আরো অনেক শিক্ষক আছেন যাদের শিক্ষাদান সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞানাজর্নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। তাদের জন্য পদ্ধতি সংক্রান্ত জ্ঞান অপরিহার্য। তাছাড়া, ভালো শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিলে তিনি আরো ভালো শিক্ষক হতে পারেন। তাই বৃত্তি বিচারে সকল প্রকার শিক্ষকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে যেমন গভীর জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন, তেমনি শিক্ষাদান পদ্ধতি সম্পর্কে ব্যবহারিক গবেষণা ও নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনে আত্মনিয়োগ করা উচিত। পরিশেষে, একজন আদর্শ অভিজ্ঞ শিক্ষক তার মেধা ও মননশক্তি খাটিয়ে বুঝতে পারবেন কোন পদ্ধতিতে পাঠদান করলে শতভাগ সফল হবেন। ঠিক তিনি সে পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করবেন এটাই- যথার্থ। শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকের নিজস্ব কৌশল হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম কৌশল। তবে শিক্ষককে খেয়াল রাখতে হবে যে, শ্রেণীশাসন কিংবা শ্রেণী নিয়ন্ত্রণের জন্য শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে আঘাত বা চাপ দেয়া উচিত নয়। প্রয়োজনে হাতে-কলমে শিক্ষাদান করে শিক্ষাদান কার্যক্রমকে আনন্দমূখর, শ্রুতিমধুর এবং প্রাঞ্জল করে তুলবেন।

মোঃ আবু আব্দুর রহমান সিদ্দিকী

সিনিয়র শিক্ষক (ইংরেজী)

জাগরণী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যাবীথি

নেওয়াশী, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম।

মোবাইল নং- ০১৭৪৩৯৪৩১১৩