Loading..

প্রকাশনা

১৯ জুন, ২০১৪ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা ঢাকা, সোমবার ০৯ জুন ২০১৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২১, ১০ শাবান ১৪৩৫ আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
DIGITAL কন্টেন্ট খুঁটিনাটি ডিজিটাল কন্টেন্ট ও শিক্ষকের চাহিদা পল্লব কুমার ভৌমিক, সহকারী প্রধান শিক্ষক মাস্টার ট্রেইনার- TQI-II, শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা শিক্ষকতা পেশার এ কাল ও সেকাল। পূর্বের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা ও বর্তমান শ্রেণি কার্যক্রমে যথেষ্ট পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। শিখন- শেখানো পদ্ধতি ও কৌশল উপকরণের ব্যবহার সম্পর্কে TQI (Teaching Quality Improvement) Project এর অধীনে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। ২০১০ সালের ছিল Low cost No cost, teaching aids এর ব্যবহার। তারই ধারাবাহিকতায় এর সাথে আজ যুক্ত হলো শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় Digital উপকরণ। আজ Digital content এর জয়জয়কার। NCTB কর্তৃক যে কারিকুলাম আছে তা সকল শিক্ষকের হাতে পৌঁছায় না। আর থাকলেও তা সঠিকভাবে মেনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হয় না। সেক্ষেত্রে ডিজিটাল কন্টেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যেমন শিখন ফল অর্জনের লক্ষ্যে কোন পাঠ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর কখন কী কাজ কী ভূমিকা পালন করতে হবে তা নির্দেশিত থাকতে পারে। সহজলভ্য উপকরণ ব্যবহার করে কেউবা শুধু চক ডাস্টার দিয়ে, শুধু বক্তৃতা পদ্ধতিতে ইত্যাদি। তবে ডিজিটাল কন্টেন্ট, কোন একটি অধ্যায়ের উপর কতটি পিরিয়ড পরিচালিত হবে তা হিসাব করে সম্পূর্ণ বইটির উপর মোট কার্যদিবস অনুযায়ী ভাগ করে মোট কন্টেন্ট তৈরি করা যেতে পারে। এভাবে তৈরি কন্টেন্ট ই-নির্দেশিকাসহ Digital content হিসেবে গণ্য হতে পারে। যা অদৃশ্য, দুর্বোধ্য, বিমূর্ত শিক্ষার্থীর চিন্তাশক্তির বাইরে থেকে যায় সে রকম বিষয়বস্তুগুলো খুব সহজেই ডিজিটাল কন্টেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর গ্রহণ উপযোগী করে তোলা যায়। একটি ছোট্ট ভিডিও, একটি জীবন্ত ছবি, এনিমেশনের মাধ্যমে কোন বিশেষ অবস্থার ঠিক পরবর্তী অবস্থার যে সূক্ষ্ম পরিবর্তন তা ফুটিয়ে তোলা, চিন্তাশক্তির প্রসার ঘটানো। এ বিষয়ে কনফুসিয়াস বলেছেন, "Learning without thinking is useless." এই কন্টেন্টের তুলনা নেই। আমাদের পাঠ্য বইগুলো সাদাকালো ছবি বিশেষ করে পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন ছবির বর্ণনা পড়েও শিক্ষার্থী ছবির সাথে মিল খুঁজে পায় না কোন যন্ত্রের বা কোন অঙ্গানুর। তাছাড়া বই এ অনেক বিষয়বস্তুর প্রস্তাবনা আছে যা শিক্ষার্থী শিক্ষকের মুখের বর্ণনাতেই তুষ্ট থাকে। সেক্ষেত্রে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তথা ডিজিটাল কন্টেন্ট অধিক ফলপ্রসূ। সকল বিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন পাঠ উপস্থাপন হচ্ছে কিনা সে নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় রয়েছে। এক্ষেত্রে একটি অধ্যায়ের উপর বিষয়ভিত্তিক বা দক্ষ শিক্ষক দিয়ে শিক্ষক বাতায়নের কন্টেন্ট প্রস্তুতকারক শিক্ষকদের সমন্বয়ে টিম গঠন করে একটি কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে। টিমে T.T.C শিক্ষক এবং প্রশিক্ষকবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত হবে। তারা সম্পূর্ণ বইয়ের উপর কন্টেন্ট তৈরি করবেন। সেটি বাতায়নে দেয়া হবে। দেশের সকল শিক্ষক তার প্রয়োজনমত বইয়ের কন্টেন্টগুলো ডাউনলোড করে নিতে পারবেন শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য। তবে শ্রেণি শিক্ষক, অঞ্চল ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুযায়ী ছবি, সংযোজন, পরিমার্জন ইত্যাদি করে নিজের মত পাঠ উপস্থাপন করবেন। একটি কন্টেন্ট তৈরি করা অনেক সময়সাপেক্ষ, ব্যয়সাপেক্ষও বটে। শিক্ষক বাতায়নের ব্লগে দেখা যায়, অনেক শিক্ষক লিখে থাকেন অনেক কষ্টে একটি ভিডিও ডাউনলোড করলাম। বিভাগীয় শহরগুলোর তুলনায় গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকগণ ইন্টারনেটের গতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত। বিদ্যুত্ প্রবাহও একটি বাধা, তাই একবার যেকোন বিষয়ের এক একটি অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় পিরিয়ডভিত্তিক কন্টেন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে একটি মানসম্পন্ন কাঠামো হয়ে গেল। পরবর্তীতে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের দক্ষ শিক্ষকগণ তার প্রয়োজনমত সংযোজন বিয়োজন করে পাঠ কার্যক্রম করতে পারবেন সহজেই। কম্পিউটারের নানাবিধ সমস্যা, তথা ফন্ট সমস্যা, সফটওয়্যার সংক্রান্ত জটিলতা ইত্যাদি থেকে মফস্বলের শিক্ষক রেহাই পাবে বলেই বিশ্বাস। বর্তমানে TQI-II প্রজেক্টের মাধ্যমে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে পর্যায়ক্রমে ৩ জন করে শিক্ষক এই ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরির প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লেপটপ প্রজেক্টর বাক্সবন্দী অবস্থায় আছে। কারণ হলো অনাগ্রহ, আগ্রহ যদিও বা আছে, সেক্ষেত্রে বলা যায়, প্রয়োজন অনুযায়ী পাঠ পরিকল্পনা তৈরির জন্য যে ধরনের কন্টেন্ট চাই তা তিনি নিজে তৈরি করতে পারছেন না বা পারলেও যান্ত্রিক জটিলতায় ভুগছেন। অথবা এত সময় নিয়ে একটি কন্টেন্ট তৈরি করতে করতে উক্ত পাঠের হয়তো প্রয়োজনীয়তাই শেষ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে মানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি করে যদি শিক্ষক বাতায়নে দেয়া হয় তবে সকলেই উপকৃত হবে বলে বিশ্বাস রাখি। ( লেখাটি পড়া হয়েছে ১৮ বার )

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি