Loading..

খবর-দার

০৪ এপ্রিল, ২০২০ ০৬:০১ অপরাহ্ণ

ইয়া আল্লাহ, আপনি আমাদের মুত্তাকী হওয়ার তৌফিক দান করুন

তাহাজ্জুদ সালাত বা রাতের সালাত মহান আল্লাহর নিকট অতি প্রিয়। যেসব মুমিন রাতের সালাত আদায় করে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জ্ঞান ও মর্যাদার এক অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেন।
পবিত্র কোরআনে তাহাজ্জুদ বা রাতের সালাত সর্ম্পকিত কিছু আয়াত-

১। রহমানের বান্দা তারাই যারা তাদের রবের জন্য সিজদারত ও দণ্ডায়মান হয়ে রাত্রি যাপন করে। (সুরা ফুরকান: ৬৪)

২। মুত্তাকীরা রাতের সামান্য অংশই ঘুমিয়ে কাটাত। আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমা চাওয়ায় রত থাকত। (সুরা যারিয়াত: ১৭-১৮)

৩। ইমানদার বান্দারা রাতে তাদের পৃষ্ঠদেশ বিছানা থেকে আলাদা করে ভয় ও আশা নিয়ে রবকে ডাকে। আর আমি তাদেরকে যে রিযক দান করেছি, তা থেকে তারা ব্যয় করে। অতঃপর কেউ জানে না তাদের জন্য চোখ জুড়ানো কোন জিনিস লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তারা যা করত তার বিনিময় স্বরূপ। (সুরা সেজদাহ: (১৬-১৭)

৪। যারা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত তারা রাতে আল্লাহর আয়াত পাঠ করে এবং সিজদাবনত হয়। (সুরা আলে-ইমরান: ১১৩)

৫। ইমানদার বান্দারা সত্যনিষ্ঠ, অনুগত ও দানশীল এবং রাতের শেষভাগে আল্লাহ‌র কাছে গোনাহ মাফের জন্য দোয়া করে থাকে। (সুরা আলে-ইমরান: ১৭)

৬। যে ব্যক্তি রাতের প্রহরে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তার রব-এর রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান যে এরূপ করে না। (সুরা যুমার: ৯)

৭। হে চাদর আবৃত! রাতের সালাতে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া। রাতের অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে কিছুটা কম অথবা তার চেয়ে একটু বাড়াও। আর স্পষ্টভাবে ধীরে ধীরে কুরআন আবৃত্তি কর। (সুরা মুয্‌যাম্মিল: ১-৪)

৮। রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় কর তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করা যায়, তোমার রব তোমাকে মাকামে মাহমুদে (প্রশংসিত অবস্থান) প্রতিষ্ঠিত করবেন। (সুরা ইসরা: ৭৯)

৯। সকাল-সন্ধ্যায় তোমার রবের নাম স্মরণ কর, আর রাতের একাংশে তার উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হও এবং দীর্ঘ রাত ধরে তাঁর তাসবীহ পাঠ কর। (সুরা ইনসান/দাহর: ২৫-২৬)

১০। তুমি ধৈর্যধারণ করো আর স্বীয় প্রভুর প্রশংসা সহকারে তাসবীহ করতে থাকো সূর্যোদয় ও সুর্যাস্তের আগে, এবং রাতের একাংশেও তুমি তাঁর তাসবীহ পাঠ কর এবং সালাতের পরেও। (সুরা কাফ: ৩৯-৪০)

১১। তুমি রাতের কিছু অংশে এবং নক্ষত্র অস্ত যাবার পর তার তাসবীহ পাঠ কর। (সুরা তুর: ৪৯)

গভীর চিন্তা-ভাবনা ও মনোনিবেশসহ কুরআন পাঠের জন্য রাত উপযুক্ত সময়। রাতে মানুষ অপেক্ষাকৃত বেশি প্রশান্তি, তৃপ্তি ও মনোযোগ সহকারে কুরআন পড়তে পারে। সকল প্রকার ধ্বনি ও হট্টগোল থেকে মুক্ত হয়ে নিঝুম-নিস্তব্ধ পরিবেশে নামাযী মহান আল্লাহর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। প্রভুর সাথে নামাযীর কথোপকথন শব্দের গোলযোগ ও পৃথিবীর হট্টগোল থেকে সুরক্ষিত থাকে। অপার আনন্দ ও তৃপ্তিতে নামাযীর হৃদয় প্রশান্তি লাভ করে।

আসুন রাতের শেষ প্রহরে ঘুমন্ত পৃথিবীর নিরবচ্ছিন্ন নিস্তব্ধতায় মহান আল্লাহর কাছে বিনীত অন্তরে ক্ষমা প্রার্থনা করি। এটা সেই মহেন্দ্রক্ষণ যখন মহান রব তাঁর বান্দাদেরকে ফিরিয়ে দেন না।