Loading..

খবর-দার

১০ এপ্রিল, ২০২০ ০৩:৪২ অপরাহ্ণ

চলো বৃত্তের বাহিরে যাই

আমাদের দেশে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি এ এইচএসসি নামে যে শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, তাতে কি আদৌ সু শিক্ষা অর্জন হচ্ছে? না কি মুখস্ত বিদ্যার আড়ালে সৃজনশীলতার নামে মৌলিক শিক্ষা ধ্বংশ হচ্ছে। এখনকার যুগে শিক্ষার্থীরা ভালো মানের রেজাল্ট করেও জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কিংবা অপারেশন সার্চ লাইট কি তার হাস্যকর উত্তর প্রদান করে। তবে এ কথা সত্য যে, সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করায় মুখস্ত বিদ্যা হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার্থীরা এখন নিজের থেকে উত্তর করা শিখে গেছে। আর আমরা যারা শিক্ষকবৃন্দ রয়েছি খাতা মূল্যায়ন করি, আমরা খুব ভালোভাবেই জানি কোন প্রশ্নের উত্তর শিক্ষার্থীরা কি অকল্পনীয় উত্তর দেয়। তারপরও সৃজনীলতার আইনে বিবেক বিদ্ধ হয়ে নম্বর প্রদান করে থাকি। এতে ঐ শিশুটি একটি শ্রেণি পাড় পেয়ে গেলেও মূল বিষয়টি তার কাছে অজানাই থেকে যায়। এতে করে শিক্ষার্থীদের একটা ধারণা স্পষ্ট হয় যে, না পড়েও পাশ করা যায়।তাছাড়া প্রযুক্তির এ যুগে শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তের বাইরে যেতে চায়। তাই সম্মানীত বিশেষজ্ঞ কারিকুলাম প্রণেতাদের নিকট বিনীত অনুরোধ বিষয়টি একটু ভেবে দেখার এখনই সময়। খাতা-কলমের পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে হাতে কলমের নম্বর বাড়ানো যায় কি না।ব্যবহারিক কিংবা অনুসন্ধানমুলক শিক্ষা যেমন বাগান করা, বৃক্ষরোপন, খেলাধুলা, দেশ ভ্রমন ইত্যাদি অ্যাসাইনমুলক ইন্টার্নশীপ দিকগুলোর উপর জোর দিলে বৈশ্বিক শিক্ষার সামঞ্জস্য যেমন রক্ষা হবে অন্যদিকে শিক্ষার্থীর শারিরীক মানসিক প্রফুল্লতার পাশাপাশি গতবাধা পুস্তক নির্ভরতা ও কমবে। ধন্যবাদান্তে-আজিবুর রহমান,সহকারী শিক্ষক, ফুড়ারপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কোম্পানীগ, সিলেট।