Loading..

ম্যাগাজিন

৩০ এপ্রিল, ২০২০ ০৩:৪৯ অপরাহ্ণ

জেলে বসে মাস্ক বানাচ্ছে ছেলে, হাসপাতালে করোনার সঙ্গে লড়ছে মা! শেষ দেখা হবে কি?

বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টিকারী আণুবীক্ষণিক জীব নভেল করোনারভাইরাসের দাপটে শোচনীয় অবস্থা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকার। চারদিকে মৃত্যুমিছিল। স্বাভাবিক ভাবেই খারাপ অবস্থা সেখানকার সংশোধনাগারগুলোরও। খবর মিলেছে, বেশ কিছু বিচারাধীন বন্দিও মারা গেছেন। এই অবস্থায় মানসিক চাপ বাড়ছে তাদের। অনেকেই নানা কাজে যুক্ত হচ্ছেন।

এরকমই নিউইয়র্কের সিংসিং বন্দিশালায় রয়েছেন এক বিচারাধীন বন্দি ফ্রান্সিসকো হার্নান্দেজ। কয়েক দিন আগেই করোনার কারণে হারিয়েছেন জেলের সঙ্গীকে। তার পরেই খবর পেয়েছেন একই অসুখে আক্রান্ত তার মা। অবস্থা ভাল নয়। আশঙ্কা, হয়তো হয়ে উঠবে না শেষ দেখা। অথচ উপায় নেই। জেলের ভিতরেই আর পাঁচ জন কয়েদীর সঙ্গে মাস্ক সেলাই করে নিজেকে ভুলিয়ে রাখছেন তিনি।

আমেরিকায় যে মাস্ক ব্যবহৃত হচ্ছে তার একটা অংশ এই বন্দিদেরই উৎপাদন করা। জেলে সাধারণত নানারকম সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখা হয় বন্দিদের। বাগান করা, ছবি আঁকা, পড়াশোনা করা– সবই চলে। এখন সময়ের প্রয়োজনে সকলকে দিয়েই মাস্ক তৈরি করাচ্ছেন জেল কর্তৃপক্ষগুলো।

প্রায় ২০ বছর আগে একটি হত্যার চেষ্টার মামলায় ফ্রান্সিসকোর শাস্তি হয়েছিল। জেলে যাওয়ার আগে মাকে কথা দিয়েছিলেন, ফিরবেন সম্পূর্ণ অন্য একজন মানুষ হয়ে। মাথা উঁচু করে বাঁচবেন এই পৃথিবীর বুকে। তাই জেলে অনেক পড়াশোনাও করেছেন ফ্রান্সিসকো। আর তিন বছর পরেই তার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। মুক্তি হয়তো মিলবে, কিন্তু মাকে আর হয়তো দেখা হবে না শেষবারের জন্য। কভিড-১৯ কেড়ে নিতে পারে তার মায়ের প্রাণ। দিনরাত মাস্ক সেলাই করতে করতে এই চিন্তাই অস্থির করেছে হার্নান্দেজকে।

জানা গেছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে ফ্রান্সিসকোর মা অ্যান্টোনিয়া ম্যাকার্থি নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন করোনা সংক্রমণ নিয়ে। এমনিতেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা আগে থেকেই ছিল তার। তার ওপরে এই ভাইরাসের আক্রমণ সামলানো বেশ কঠিন হয়ে উঠছে।ৱ

জেল সূত্রের খবর, ফ্রান্সিসকো জানিয়েছেন, তিনি বারবার অনুরোধ করেছিলেন মায়ের সঙ্গে তাকে দেখা করতে দেওয়ার জন্য। আইনজীবীরও সাহায্য নিয়েছিলেন, অন্তত একটিবারের জন্য ভিডিও কলের অনুমতিও যদি জোটে! কিন্তু কিছুতেই কাজ হয়নি। অনুমতি মেলেনি। আর কখনও দেখা হবে কি মায়ের সঙ্গে? জানেন না ফ্রান্সিসকো।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি