Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

০৬ মে, ২০২০ ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ

স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন-মোহাম্মদ আতাউর রহমান সিদ্দিকী, সহকারী শিক্ষক, সুলতান খান কান্দি স:প্রা:বি:, শিবচর, মাদারীপুর।

আজকের শিশুরাই আগামী দিনে জাতির কর্ণধার। আর তাদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা, নেতৃত্ব সৃষ্টি ও পড়ালেখায় মনোযোগী করে তুলতে প্রতি বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের নাম ‘স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন’। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের সুলতান খান কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩/০২/২০২ইং তারিখ রবিবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  শিক্ষণীয় বিষয় হলো— শিশুরাই নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছে। তারা দেখিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে— কীভাবে নির্বাচন করতে হয়। এখানে জোরপূর্বক ভোট গ্রহণ বা জাল ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সাত সদস্যের স্টুডেন্ট কাউন্সিলের প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার বিধান চালু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। সাতজন নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে সাতটি দফতরও বণ্টনের কথা নির্বাচন-পরবর্তী প্রথম সভায়। দফতরগুলো হচ্ছে— স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, পানিসম্পদ, পরিবেশ, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী, বৃক্ষরোপণ ও বাগান তৈরি এবং অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন। এসব দফতর যাদের ওপর অর্পিত হয়, তাদের কেউ স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কেউ শিক্ষামন্ত্রী, আবার কেউ পরিবেশ মন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী হিসেবে পরিচিতি পায়। এ সাত কাউন্সিলরের নেতৃত্বেই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তীকালে তাদের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। নির্বাচিত এসব প্রতিনিধি বৃক্ষরোপণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, টিকাদানসহ বিভিন্ন কাজে শিক্ষকদের সহযোগিতা করে। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যায় তারা তাদের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের মাধ্যমে শৈশব থেকে গণতন্ত্রের চর্চা, পরমতসহিষ্ণুতা, মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাভাব অর্জন অনেকটা সহজতর হতে পারে। এছাড়া বিদ্যালয়ের লেখাপড়া, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা ও পরিবেশ উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে এ নির্বাচনের মাধ্যমে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলীয় মনোভাব ও সমঝোতা বৃদ্ধি, জাতীয় চেতনা, জাতীয়তা বোধ এবং দেশপ্রেম জাগ্রত হয়।