Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৯ আগস্ট, ২০১৪ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইচ্ছা থাকলে অনেক কিছু সম্ভব

 

প্রসবব্যথা ওঠার পর গতকাল রাতে স্থানীয় এক ক্লিনিকে নেওয়া হয় সম্মান তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়াকে। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তিনি জন্ম দেন একটি পুত্রসন্তান। সন্তানের মুখ দেখে শারীরিক যন্ত্রণা ভুললেও মনে ছিল দুশ্চিন্তা। পরের দিন (আজ সোমবার) যে তাঁর সম্মান তৃতীয় বর্ষের শেষ পরীক্ষা।

তবে সব দুশ্চিন্তা জয় করে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে আজ ঠিকই পরীক্ষার সময় পঞ্চগড় মহিলা কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হন জান্নাতুল। তিনি পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। পরীক্ষাকেন্দ্রের নিয়ম-বিধি মেনে অ্যাম্বুলেন্সের বিছানায় বসে পরীক্ষা দেন তিনি। তত্ত্বাবধানে ছিলেন শিক্ষক হাসনুর রশিদ। আর জান্নাতুলের সদ্যোজাত ছেলে তখন তার দাদির কোলে।

এ ব্যাপারে জান্নাতুল বলেন, ‘সন্তানের কথা ভেবেই পরীক্ষা দিলাম। অ্যাম্বুলেন্সে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’

জান্নাতুলের স্বামী গোলাম মোস্তফা জানান, তাঁদের বাড়ি বোদা উপজেলার সাকোয়ায়। তাঁদের বিয়ে হয়েছে দুই বছর। সন্তান গর্ভে নিয়েই জান্নাতুল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন এবং পরীক্ষায়ও অংশ নেন।

পঞ্চগড় মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কানাই লাল কুণ্ড বলেন, ‘জান্নাতুলের পরীক্ষা দেওয়ার অদম্য ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে বসে তাঁকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আশা করি সে পরীক্ষায় ভালো করবে।’

আরো দেখুন