ডেমোনেস্ট্রেটর
১৬ জুন, ২০২০ ০১:৪০ পূর্বাহ্ণ
র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি(ইংরেজি: Random access memory),
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: সপ্তম
বিষয়: ডিজিটাল প্রযুক্তি
অধ্যায়: দ্বিতীয় অধ্যায়
র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি(ইংরেজি: Random access memory), সংক্ষেপে র্যাম (RAM) হল এক ধরনের কম্পিউটারের উপাত্ত (ডাটা) সংরক্ষণের মাধ্যম। র্যাম থেকে যে কোন ক্রমে উপাত্ত "অ্যাক্সেস" করা যায়, এ কারণেই একে র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি বলা হয়। র্যান্ডম শব্দটি দিয়ে এখানে বুঝানো হয়েছে - যে কোনো উপাত্ত (তার অবস্থানের উপরে নির্ভর না করে) ঠিক একই নির্দিষ্ট সময়ে উদ্ধার করা যায়। রক্ষনাত্নক দৃষ্টিতে, আধুনিক ডির্যামগুলো র্যান্ডম এ্যাকসেস মেমোরি নয় (যেভাবে এগুলো ডাটা রিড করতে পারে)। একইসাথে, বিভিন্ন ধরনের এসর্যাম, রম, ওটিপি এবং নর ফ্ল্যাশ ইত্যাদি র্যান্ডম এ্যাকসেস মেমোরি। র্যামকে ভোলাটাইল মেমোরি বলা হয় কারণ এতে সংরক্ষিত তথ্য বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আর থাকে না। আরো কিছু নন-ভোলাটাইল মেমোরি (যেগুলোতে বিদ্যুত চলে যাওয়ার পরও তথ্য মুছে যায় না) যেগুলো রক্ষনাত্মক দৃষ্টিতে র্যাম সেগুলো হল রম, একধরনের ফ্লাশ মেমোরি যাকে নর-ফ্লাশ বলে। প্রথম র্যাম মডিউল বাজারে আসে যেটা তৈরী হয়েছিল ১৯৫১ সালে এবং ১৯৬০ দশকে এবং ১৯৭০ দশকের প্রথমদিকে বিক্রি হয়েছিল। যাইহোক, অন্যান্য স্মৃতি যন্ত্রাংশ (চৌম্বকীয় টেপ, ডিস্ক) তাদের জমাকৃত স্মৃতিতে নিশ্চিতভাবে প্রবেশ এবং ব্যবহার করতে পারে সবসময়ের জন্য।
প্রথমদিকের একটি বহুল ব্যবহৃত লিখা যায় এমন একটি র্যান্ডম এ্যাকসেস মেমোরি হয় চৌম্বকীয় কোর স্মৃতি যা ১৯৫৫ থেকে ১৯৭৫ সালে উন্নয়ন করা হয়েছিল এবং একই সময়ে তা তখনকার কম্পিউটারগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছিল র্যামে ডাইনামিক এবং স্ট্যাটিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার আগে। এর আগে কম্পিউটারগুলো ব্যবহার করত রিলে, ডিলে লাইন বা ডিলে মেমোরি, অথবা বিভিন্ন ধরনের বায়ুশূণ্য টিউব (শত থেকে হাজার হাজার)। ড্রাম মেমোরিগুলো কম খরচে বাড়ানো যেত কিন্তু তথ্যের উদ্ধার এবং গতি বাড়ানোর জন্য ড্রামের নকশা বা লে-আউট জানার প্রয়োজন হত। সমন্নিত রম সার্কিট উন্নয়নের আগে রমগুলো প্রায়ই বানানো হত সেমিকন্ডাক্টর ডাইওড ম্যাট্রিক্স ব্যবহার করে।