
ডেমোনেস্ট্রেটর

১৬ জুন, ২০২০ ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
ডেমোনেস্ট্রেটর
ধরনঃ সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণিঃ অষ্টম
বিষয়ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়ঃ তৃতীয় অধ্যায়
ম্যালওয়্যার (Malware) হল ইংরেজি malicious software (ক্ষতিকর সফটওয়্যার[১]) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এ হল একজাতীয় সফ্টওয়্যার যা কম্পিউটার অথবা মোবাইল এর স্বাভাবিক কাজকে ব্যহত করতে, গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে, কোনো সংরক্ষিত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে বা অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন দেখাতে ব্যবহার হয়।[২] 1990 সালে Yisrael Radai ম্যালওয়্যার শব্দটি ব্যবহারে আনেন। ইতিপূর্বে এই জাতীয় সফ্টওয়্যারকে কম্পিউটার ভাইরাস বলা হোতো।[৩] ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে পড়ার প্রথম শ্রেনী হল পরজীবি প্রকৃতির সফ্টওয়্যার অংশবিশেষ যারা কোনো এক্সিকিউটেবল্ ফাইলের সঙ্গে নিজেদের জুড়ে নেয়। এই অংশ হতে পারে কোনো মেশিন কোড যা সংক্রমিত করতে পারে মেশিনের কোনো অ্যাপ্লিকেশন্ , ইউটিলিটি, সিস্টেম পোগ্রাম, এমনকি মেশিন চালু হওয়ার জন্য অত্যাবশ্যক কোনো কোড কে।[৪] ম্যালওয়্যার সংজ্ঞাত হয় তার হানিকারক উদ্দেশ্য দ্বারা। এরা কম্পিউতার ব্যবহারকারীর স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে। যদি কোনো সফ্টওয়্যার তার অক্ষমতার কারণে অনিচ্ছাকৃতে কম্পিউটারের কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করে সেক্ষেত্রে তাকে ম্যালওয়্যার বলা চলেনা।
তথ্য চুরি করা কিম্বা ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতসারে তার উপর চরসুলভ নজরদারী করার উদ্দেশ্যে ম্যালওয়্যার গোপন ভাবেও কাজ করে চলতে পারে, উদাহরণ স্বরূপঃ Regin , আবার অন্তর্ঘাত করতেও পারে (যেমনঃ Stuxnet), অথবা নগদ দাবি আদায় করতেও পারে (CryptoLocker)
'ম্যালওয়্যার' হল কম্পিউটার ভাইরাস, ওয়ার্ম, ট্রোজান হর্স, র্যানসমওয়্যার, স্পাইওয়্যার, অ্যাডওয়্যার, স্কেয়ারওয়্যার ইত্যাদি বিবিধ হানিকারক, অনুপ্রবেশ-পরায়ণ [৫] সফ্টওয়্যার-এর এক সাধারণ নাম। এরা আসতে পারে এক্সিকিউটেবল্ কোড, স্ক্রীপ্ট, সক্রিয় তথ্যাদি (active content) বা অন্য কোনো রূপে।[৬] ম্যালওয়্যার প্রায়শই নিরাপদ ফাইলের রূপ ধারণ করে থাকে অথবা ঐরুপ ফাইলের মধ্যে আশ্রিত থাকে। 2011 অবধি অধিকাংশ ম্যালওয়্যার ঘটিত বিপদই এসেছে ওয়ার্ম আর ট্রোজান থেকে, ভাইরাস থেকে নয়।[৭]
ইউ এস স্টেটস্-এর বহু আইনি ধারায় ম্যালওয়্যারকে কখনো কখনো কম্পিউটার দূষক (computer contaminant) হিসাবেও বলা হয়।[৮][৯]
স্পাইওয়্যার বা অন্য জাতীয় ম্যালওয়্যার অনেকসময় বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবসাইট কর্তৃক বিলি করা, ডাউনলোড যোগ্য প্রোগ্রাম এর মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে। এরা আকর্ষনীয় দৃষ্টিনন্দন হলেও এদের মধ্যে লুকিয়ে থকাতে পারে ব্যবসায়িক পরিসংখ্যান সংগ্রহকারী কার্যকলাপ। এই জাতীয় সফ্টওয়্যার এর এক উদাহরন হল Sony rootkit, Sony দ্বারা বিক্রিত CD-র মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক ট্রোজান, যা অগোচরেই ক্রেতার কম্পিউটারে গোপন ভাবে ইনস্টল হয়ে যায়; এর উদ্দেশ্য অবৈধ নকল রোধ করা। এছাড়াও এটি লক্ষ্য রাখে ব্যবহারকারীর শ্রবণ- প্রবণতা এবং এর ফলে অনিচ্ছাকৃতেই তৈরি হতে পারে কিছু দুর্বলতা যার অসদ্ব্যবহার করতে পারে অন্যান্য ম্যালওয়্যার।[১০]
হানিকারক রূপে চিহ্নিত কার্যকলাপ প্রতিহত করতে এবং ঐ ধরনের আক্রমনের থেকে মুক্তি পেতে অ্যান্টিভাইরাস ও ফায়ারওয়াল জাতীয় সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয়।[১১]