Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২১ আগস্ট, ২০২০ ০৩:৩২ অপরাহ্ণ

ফুড পয়জনিং হলে করণীয়

পেটের ভিতর যেকোন গোলমাল হলেই ফুড পয়জনিং ভেবে নেয়া উচিত নয়। খাবার থেকে পেটের ভেতর সংক্রমণ হলেই তাকে ফুড পয়জনিং বা খাদ্য বিষক্রিয়া বলে। সব খাবার থেকেই ফুড পয়জনিং হয় না। কেবল ব্যাকটেরিয়া বা টক্সিনযুক্ত খাবার থেকে সাধারণত এ সমস্যা হয়।

ফুড পয়জনিংয়ের কারণ

১। প্রথমত খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য ব্যাকটেরিয়া দায়ী। কোলি, সালমোনেলা, ক্যাম্পিলোব্যাক্টর এবং ক্লসটিরিডিয়াম বোটুলিনাম ব্যাকটেরিয়া খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।

২। ভাইরাসের আক্রমণেও ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে। গবেষকদের ভাষ্যমতে হেপাটাইটিস এ এবং নোরোভাইরাস এ বিষক্রিয়ার জন্য দায়ী।

৩। পরজীবীর কারণেও খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়। টক্সোপ্লাজমা পরজীবীকে এজন্য দায়ী করা হয়।

এছাড়াও পচা বাসি খাবার খেলে, খাবার আগে হাত জীবাণুমুক্ত না করলে খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়ে থাকে। আবার কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো অনেকের হজমে ঝামেলা করে। তাই চিকিৎসকগণ তাদের সেসব খাবার স্থায়ীভাবে পরিহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যেমন দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবার। রান্না করা মাছ-মাংস বেশি দিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে সে তরকারিতে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয় এবং পচন ধরে। শাক-সবজি ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে সবজি থেকেও বিষক্রিয়া হতে পারে। খাবার পানি থেকেও বিষক্রিয়া হওয়া খুবই স্বাভাবিক।

খাদ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষণ

পেটে যেকোন সমস্যাই ফুড পয়জনিং নয়। বমি বমি ভাব, পেট ব্যাথা, পেট ফাপা, খিদে না লাগা এমন সমস্যা হলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয় যে খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটেছে। এই বিষক্রিয়া মারাত্মক হলে ডায়রিয়া, তীব্র ডিহাইড্রেশন হয়। এমনকি কথা বলতে বা দেখতে অসুবিধা হয়।

খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঝুকিসমূহ

ফুড পয়জনিং হলে যে ভয়ানক সমস্যা হতে পারে তা হলো ডিহাইড্রেশন। E-coli নামক ব্যাকটেরিয়া হেমোলিতিক উরেমিক সিনড্রোম নামে এ জটিলতা তৈরি করে। এজন্য কিডনিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।


আরো দেখুন