Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২৪ আগস্ট, ২০২০ ১০:৩০ অপরাহ্ণ

সংস্কৃতি চর্চার অভাব ও উত্তরণ

আমার উদ্ভাবনী গল্প দেখার জন্য সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। একজন শিক্ষক হিসাবে আমি মনে করি শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি তাদের সংস্কৃতি চর্চা করা প্রয়োজন । শিক্ষা ও সংস্কৃতি একে অপরের অত্যাবশ্যকীয় পরিপূরক। সাংস্কৃতিক চর্চা সব সময়ই একে অপরের সাথে যুগপথ সৃষ্টি করে । খেলাধুলা নাটকচর্চা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলবেঁধে নাচ-গান, প্রকৃতিপাঠ, বিতর্ক, ইত্যাদি কিন্তু সেইগুলো প্রায় উঠেই গেছে । যদি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতি চর্চার অপূর্ণতা থেকে যায়, মানুষ তাদের জীবনে সুস্থ সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটাতে না পারে তারা যদি অপসংস্কৃতির শিক্ষায় শিক্ষিত হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা মেধার চলনে পথ হারাবে এমনকি বেছে নিতে পারে সন্ত্রাস মাদক কিংবা জঙ্গিবাদের মত ধ্বংসাত্নক পথের আহ্বান। বিধায় সংস্কৃতির বিকাশ সাধনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের কর্তব্যের মধ্যেই পরে। তাই আমি বিদ্যালয়ে আমার ছাত্র/ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে সংস্কৃতি চর্চার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করলাম এবং অপসংস্কৃতি চর্চা কিভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে দূর করা যায় এটা নিয়ে একটি শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধান দক্ষতা অর্জন পরিকল্পনা করলাম এবং যথারীতি তাদের নিজ নিজ গ্রুপ করে আলোচনা করতে বললাম । শুরুতে আমি তাদের বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও সংস্কৃতি বিষয়ে অধ্যয়ন করতে দিলাম । আমি বির্তক প্রতিযোগীতা, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি বিষয়ক নাটক ইত্যাদি আয়োজন করে তাদেরকে অংশগ্রহন করতে বললাম । আর নির্দেশক হিসাবে আমি এখন ওদের মাঝে দেখতে পাচ্ছি ওরা নিজেরাই এখন দেশীয় খেলা ও দেশের ঐতিহ্য পালনে অংশগ্রহন করছেআমার ছোট্ট প্রচেষ্ঠা্র মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আধুনিক চলমান বিশ্বে নিজের সংস্কৃতিকে দাঁড় করতে পারবে সুপ্ত প্রতিভাগুলো বিকশিত হবে এবং দেশ সামাজিক অবক্ষয় থেকে মুক্তি পাবে সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে উদ্ভাবনী গল্প এখানেই শেষ করছি