সহকারী শিক্ষক
৩১ আগস্ট, ২০২০ ১২:১১ অপরাহ্ণ
শূন্য নিয়ে কিছুক্ষণ
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: নবম
বিষয়: গণিত
অধ্যায়: প্রথম অধ্যায়
সম্মানিত প্যাডাগোজি রেটার মহোদয়, এডমিন প্যানেল মহোদয়, সেরা কন্টেন্ট নির্মাতাগন এবং শিক্ষক বাতায়নের সকল শিক্ষকদের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা।
শূন্য একই সাথে অংক এবং সংখ্যা । প্রাইমারি স্কুল থেকে শুরু করে চাকরির ইন্টারভিউ পর্যন্ত শূন্য নিয়ে অনেক প্রশ্নই আমাদের কনফিউশনে ফেলে দেয়। ভিডিওটিতে শূন্যের সেই সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আমরা প্রায় বলি শূন্য থেকে শুরু করা যাক কিন্তু শূন্য নিজে কবে, কোথায়, কার হাত ধরে তার যাত্রা শুরু করেছিল, তার স্পষ্ট এবং সর্বজনমান্য ইতিহাস আজও আমাদের অজানা। 0(শূন্য) হলো একাধারে একটি সংখ্যা এবং অঙ্ক। ইংরেজিতে জিরো (zero) শব্দটি এসেছে ভেনিশিয় শব্দ জিরো (zero) থেকে যা আবার ইতালিয় জিফাইরো (zefiro জেফিরো) থেকে পরিবর্তিত হয়ে এসেছিল। ইতালীয় জিফাইরো শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ "সাফাইর" বা "সাফাইরা" (صفر) থেকে যার অর্থ "সেখানে কিছু ছিল না"।এই শব্দটি প্রথমে ভারতীয় সংস্কৃত শ্যুন্যোয়া শব্দ হতে অনুদিত হয়েছে। সংস্কৃত শব্দ শ্যুন্যেয়া (শ্যূন্য) যার অর্থ খালি বা ফাঁকা। ইংরেজি শব্দ জিরোর প্রথম ব্যবহার পাওয়া যায় ১৫৯৮ খ্রিষ্টাব্দে।
সভ্যতার প্রধান এক প্রতীকচিহ্ন শূন্য। ছোট্ট এই চিহ্নটি আমাদের দিয়েছে বড় বড় গাণিতিক সংখ্যাকে অল্প কয়েকটি অঙ্কে প্রকাশ করার বা অতি জটিলতাকে পাশ কাটিয়ে গণিতকর্ম চালানোর সক্ষমতা। ১ প্রতীকটিকে দশ, এক শ, এক হাজার কিংবা আরও অসংখ্য গাণিতিক সংখ্যায় রূপান্তরের ক্ষমতা আছে শুধু শূন্যেরই। আমাদের গণিতব্যবস্থায় সংখ্যার প্রতিটি প্রতীকেরই আছে নিজস্ব একটি মূল্য। পাশাপাশি তাদের অন্তর্গত অঙ্কগুলোর স্থানিক মূল্যও আছে। এ কারণে ১২৩৪ আর ৪৩২১ একই প্রতীক দিয়ে লেখা হলেও এরা আলাদা দুটো সংখ্যা। কিছু-না বা শূন্যের কোনো প্রতীক ছাড়া সংখ্যার এই কাঠামো গড়ে তোলা অসম্ভব ছিল। শূন্যের ধারণা 4000 5000 বছর আগে সুমেরীয়রা প্রথম তাদের গণনা ব্যবস্থায় শূন্যের প্রচলন করেন কিন্তু তখন 0 না লিখে সংখ্যার মাঝে খালি জায়গা রেখে দেয়া হতো পরবর্তীতে ব্যাবিলনীয়রা আরেকটু আপডেট করেন। তারা খালি জায়গা না রেখে দুটি কোন আকৃতির জায়গা রাখলেন সমসাময়িক সময়ে মিশরীয় সভ্যতা অনেক এগিয়ে যাচ্ছিল তারা তখন জ্যোতির্বিজ্ঞান, ক্যালেন্ডার তৈরি সহ নানা জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে যাচ্ছিল। নীলনদের ভাঙ্গনে হারিয়ে যাওয়া জমির পরিমাণ করতে তারা আবিস্কার করল জ্যামিতি যদিও সেটি জ্যামিতির প্রাথমিক ধারনা ছিল পরবর্তীতে তারা দের, হাজার বছরের পুরনো পিরামিডের ঘনত্ব নির্ণয় করতে শিখলো তারা ঘন বস্তুর ঘনত্ব নির্ণয় করতে শিখলো এরপর পন্ডিত ইউক্লিড কিছু স্বতঃসিদ্ধ নীতি বা মৌলিক নিয়ম এর উপর ভিত্তি করে গণিতের আরেকটি শাখা প্রচলন করেন যেটি জ্যামিতি নামে পরিচিত এত কিছু আবিষ্কারের মাঝে বারবার শুন্য এসেছিল কিন্তু শূন্যকে কেউ পাত্তা দেয় নি, মিশরীয়রা শূন্যের বিরোধিতা করত তারা মনে করত শূন্য মানেই ঈশ্বরের পরিপন্থী তাই শূন্যের উপর তাদের ঘোর বিরোধী……... (চলমান)