Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

০৮ অক্টোবর, ২০২০ ০৫:৩৯ অপরাহ্ণ

আকর্ষণীয় স্কুল এবং শিক্ষক পেলে তাদের পড়ালেখার প্রতিও আগ্রহ বাড়বে

মাধ্যমিক স্তরে পাঠ্যপুস্তক ব্যতীত যে সব বিষয়ে পাঠদান করতে হয় সেগুলো বিষয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে এ্কদিন গুরুত্ব দেওয়া উচিত।বাবা মা ছেলেমেয়েদের চাকরী লাভের আশায় পড়ালেখা শিক্ষিত করে তোলে। যখন চাকরি পাবে না তখন অধিকাংশ ছেলেমেয়ে বেকার হয়ে যায়।কাজেই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে ছেলেমেয়েদের সব বিষয়ে গুরত্ব দেওয়া উচিত। প্রতি বৃহস্পতিবার বা শনিবার অর্ধ দিবস শারীরিক শিক্ষা,চারুকারু এবং সঙ্গীত (নৃত্য সহ) বিষয়ে শিখন শেখানো কার্যাবলী রাখা উচিত বলে আমি মনে করি।আমি নিজেও শিল্পী বা আর্টিস্ট নই।এগুলো কখনও শিখতে পারিনি।কারন আমাদের সময়ে বিদ্যালয়ে এসব কার্যাবলী ছিল না এবং কারোর কাছ থেকে শেখারও কোন উপায় ছিল না।কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে সব কিছু হাতের মুঠোয় রয়েছে।ইন্টারনেট থেকে ভিডিও দেখে দেখে আমি মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখাতে সক্ষম হয়েছি। ২০১৯ সালে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত বক্তৃতা,অভিনয়, বিতর্ক প্রতিযগিতা,জারিগান,জাতীয় সঙ্গীত, চিত্রাঙ্কন,গান,নৃত্য ও ডিসপ্লে এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে উপজেলা ,জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করে। আমার বিশ্বাস প্রতিটি বিদ্যালয়ে এভাবে শিক্ষাদান করা হলে  মৌলিক জ্ঞান দক্ষতা অর্জন করে ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারবে।এছাড়া বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসতে আগ্রহী হবে। আকর্ষণীয় স্কুল এবং শিক্ষক পেলে তাদের পড়ালেখার প্রতিও আগ্রহ বাড়বে।আমি যখন বারান্দা দিয়ে কোন ক্লাসের দিকে যায় তখন ছেলেমেয়েরা আমাকে নিয়ে টানাটানি করে কে কার আগে নিয়ে যেতে পারে।তখন আমি আমার নির্ধারিত ক্লাসে যেতে না পারলে সমস্যায় পড়ে যায়।আমি মনে করি সহপাঠক্রমিক শিক্ষার মাধ্যমে পাঠ আনন্দদায়ক হতে পারে ।কাজেই প্রতি বৃহস্পতিবার বা শনিবার অবশ্যই সঙ্গিত,চারুকারু ও শারীরিক শিক্ষার ক্লাসের জন্য অর্ধদিবস বরাদ্ধ রাখা উচিত

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি