Loading..

ভিডিও ক্লাস

১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৮:১৬ পূর্বাহ্ণ

নাজাসাত বা নাপাক কাকে বলে || কত প্রকার ও কী কী || Nurul Amin || By NIDM

নোংরা ময়লা শরয়ী পরিভাষায় নাজাসাত এমন নোংরা-ময়লা যা দূর করার জন্য শরীয়তে নির্দেশ এসেছে নাজাসাতের প্রকারভেদ ১- মানুষের পেশাব ও মল এক বেদুইন ব্যক্তি মসজিদে পেশাব করে দিলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেছিলেন, ‘এ সকল মসজিদ পেশাব ও নোংরা-ময়লার স্থান নয়। মসজিদ হলো আল্লাহ তাআলার যিকির, নামাজ ও কুরআন তেলাওয়াতের স্থান।’ (বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম) ২- রক্ত হাদীসে এসেছে, খাওলা বিনতে ইয়াসার রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললেন ইয়া রাসূলুল্লাহ, ‘আমার মাত্র একটি কাপড়, আমি ঋতুগ্রস্ত অবস্থায় তাই পরি। তিনি বললেন, ‘যখন তুমি পবিত্র হবে তখন রক্তের স্থান ধুয়ে ফেলবে। এরপর সেই কাপড় পরে নামাজ আদায় করবে।’(বর্ণনায় আবু দাউদ) কোনো কোনো ইমামের মতে শুধু মাসিকের রক্ত নাপাক। অন্যান্য রক্ত পবিত্র, প্রবাহিত রক্ত হোক বা অপ্রবাহিত। কারণ, হাদীসে এসেছে ‘এক মুসলিম ব্যক্তি নামাজে থাকাকালে এক কাফের ব্যক্তি তার গায়ে তীর নিক্ষেপ করল। মুসলিম ব্যক্তি তার শরীর থেকে তীর উঠিয়ে ফেলল ও নামাজ চালিয়ে গেল, যদিও তার শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল।’(বর্ণনায় আবু দাউদ) ৩- যেসকল জন্তু খাওয়া যায় না তার পেশাব-পায়খানা হাদীসে এসেছে, ইবনে মাসউদ রাযি. বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পায়খানায় গেলেন এবং আমাকে তিনটি পাথর নিয়ে যেতে বললেন। আমি দুটো পাথর পেলাম, তৃতীয় পাথর খোঁজ করেও পেলাম না। তখন আমি শুকনো গোবর নিলাম। এগুলো নিয়ে তাঁর কাছে গেলাম। তিনি পাথর দুটো নিলেন আর গোবর ফেলে দিলেন আর বললেন, এটা অপবিত্র।’ (বর্ণনায় বুখারী) যেসব জন্তু খাওয়া যায় তার পেশাবের হুকুম কি? যেসকল জন্তু খাওয়া যায় বহু সংখ্যক আলেমের মতানুসারে তার পেশাব পবিত্র। তাদের প্রমাণ আনাস ইবনে মালেক রাযি. আনহুর বর্ণনা যে, কিছু সংখ্যক লোক মদীনায় এল। তারা রোগ্রাক্রান্ত হয়ে পড়ল। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের সদকার উটের কাছে পাঠালেন, যাতে তারা উটের দুধ ও পেশাব পান করতে পারে। অবশ্য হানাফী মাযহাব মতে, ঘোড়া ও যে সকল জন্তু খাওয়া হয়, তার পেশাব লঘু নাপাক। যদি তা পরিমাণে বেশি না হয়, তাহলে তা ক্ষমাযোগ্য। যদি তা পোশাক বা শরীরের এক চতুর্থাংশ হয় তাহলে পরিমাণে বেশি বলে গণ্য হবে ।(বর্ণনায় বুখারী) ৪- মৃত প্রাণী আর তা হলো, যা শরয়ী পদ্ধতিতে যবেহ ব্যতীত মারা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, (قُل لَّآ أَجِدُ فِي مَآ أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَىٰ طَاعِمٖ يَطۡعَمُهُۥٓ إِلَّآ أَن يَكُونَ مَيۡتَةً أَوۡ دَمٗا مَّسۡفُوحًا أَوۡ لَحۡمَ خِنزِيرٖ فَإِنَّهُۥ رِجۡسٌ ) {বল, ‘আমার নিকট যে ওহী পাঠানো হয়, তাতে আমি আহারকারীর ওপর কোনো হারাম পাই না, যা সে আহার করে। তবে যদি মৃত কিংবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শূকরের গোশত হয়- কারণ, নিশ্চয় তা অপবিত্র।}[সূরা আল আনআম : ১৪৫] জীবিত অবস্থায় যদি পশুর কোনো অংশ কেটে আলাদা করা হয়, তা মৃত জন্তু বলে গণ্য হবে