Loading..

ভিডিও ক্লাস

১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০৮:২৫ অপরাহ্ণ

সরকারের শ্রেণিবিভাগ-৮ম,মোঃ মোকলেছ উদ্দিন, নান্দিয়া সাঙ্গুন আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা- শ্রীপুর, গাজীপুর

সরকারের শ্রেণিবিভাগ-৮ম,মোঃ মোকলেছ উদ্দিন, নান্দিয়া সাঙ্গুন আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা- শ্রীপুর, গাজীপুর , সরকারের শ্রেণিবিভাগ ক) আইন ও শাসন বিভাগের সম্পর্কের ভিত্তিতে সরকার ১) রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার (Presidential Government): রাষ্ট্রপতি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। রাষ্ট্রপতি একাধারে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান। আইনসভা নিরস্কুশ ক্ষমতার অধিকারী নয়। রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার সদস্যগণ আইন সভার সদস্য নন। মন্ত্রিগণ তাদের কাজের জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট দায়ী থাকেন। যুক্তরাষ্ট্র, মালদ্বী, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্রে এরূপ প্রেসিডেন্ট শাসিত সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান। ২) সংসদীয় সরকার (Parliamentary or Cabinet Government): আইনসভা সার্বভৌমত্ব ক্ষমতার অধিকারী। প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার হাতে থাকে দেশের প্রকৃত শাসক ক্ষমতা। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার তাদের কাজের জন্য আইন পরিষদের নিকট দায়ী থাকেন। এ ধরনের সরকারের একজন নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধান থাকেন। রাষ্ট্রপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কার্যর কিছু করে না। বাংলাদেশ, ভারত, জার্মানি, নিউজিল্যান্ডসহ প্রভৃতির রাষ্ট্রের সংসদীয় পদ্ধতির সরকার রয়েছে। খ) ক্ষমতা বন্টনের নীতির ভিত্তিতে সরকার ১) এককেন্দ্রিক সরকার (Unitary Government): যে শাসন ব্যবস্থায় সাংবিধানিকভাবে সকল ক্ষমতার কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকে নাস্ত থাকে এবং একটি কেন্দ্র থেকে সকল ক্ষমতা পরিচালিত হয় তাকে এককেন্দ্রিক সরকার বলে। যেখানে প্রাদেশিক সরকার বা অঙ্গরাজ্য থাকতে পারে, কিন্তু এই সরকার কোন স্বাধীন ক্ষমতা ভোগ করে না। এ শাসনব্যবস্থা নাগরিকদের একক নাগরিত্ব স্বীকৃত। ফ্রান্স,বাংলাদেশ,জাপান,ইতালি প্রভৃতি দেশে এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। ২) যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার (Federal Government): যখন কতিপয় স্বাধীন রাষ্ট্র পরস্পর বিচ্ছিন্ন না থেকে পারস্পরিক যুক্তির মাধ্যমে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব কর্তৃত্বের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন রাষ্ট্র গঠন করে, তখন তাকে যুক্তরাষ্ট্র বলে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার একটি দ্বৈত সরকার। এখানে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার বিদ্যমান। কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে ক্ষমতা বন্টন করা হয়। এই সরকার ব্যবস্থায় নাগরিকদের দ্বৈত নাগরিক স্বীকৃত। প্রথমমত নাগরিকগণ প্রথমমত নিজ নিজ প্রদেশ বা অঙ্গরাজ্যের নাগরিক, দ্বিতীয়ত যুক্তরাষ্ট্রীয় বা ফেডারেল রাষ্ট্রের নাগরিক। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রভৃতি দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার পদ্ধতি বিদ্যমান। গ) ক্ষমতা উৎসের ভিত্তিতে সরকার ১) একনায়কতন্ত্র: রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা যখন একজন ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টি বা একক দলের ওপর ন্যস্ত থাকে এবং খেয়ালখুশিমতো ক্ষমতা প্রয়োগ করে শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করে তাকে একনায়কতন্ত্র বলে। এ ব্যবস্থায় শাসককে স্বৈরশাসক (Autocrat) ধরা হয়। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় বিপরীত শাসন ব্যবস্থার নাম হল একনায়কতন্ত্র। ২) গণতন্ত্র: ইংরেজি ‘Democracy’ , যা গ্রিক ‘Democratia’ থেকে শব্দটি এসেছে। অর্থ ‘জনগণের শাসন’। গণতন্ত্র সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা থাকে জনগণের হাতে। প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মূল ভিত্তি রাজনৈতিক দল যার মাধ্যমে সরকার গঠিত ও পরিচালিত হয়ে থাকে। গণতন্ত্রে একাধিক রাজনৈতিক দলকে লালন করা হয় এবং অপরিহার্য বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘বিকল্প সরকার’ হিসেবে কাজ করে। গণতন্ত্রের প্রাণ জনগণ গণতন্ত্রের জনক ক্লিস্টেনস আধুনিক গণতন্ত্রের জনক জন লক