Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

২২ মার্চ, ২০২১ ০৮:৪২ অপরাহ্ণ

ডিজিটাল ক্লাসে বাংলাদেশের আলোকিত শিক্ষকদের মিলন মেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।


করোনাকালীন ৭ এপ্রিল ২০২০ তারিখ থেকে " বাংলাদেশ আলোকিত প্রাথমিক শিক্ষক " পেজের পথচলা শুরু হয়। বাংলাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ের করোনাকালীন প্রথম অনলাইন স্কুল এই পেজ। আমরা বিশ্বাস করি যে,  বাংলাদেশের প্রত্যেক শিক্ষক এক একজন আলোকিত মানুষ। তাই আমরা এই নাম নির্বাচন করেছিলাম " বাংলাদেশ আলোকিত প্রাথমিক শিক্ষক "। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১৪ জন শিক্ষক মিলে আমরা এই পেজের কার্যক্রম শুরু করি। পরবর্তীতে বিভিন্ন জেলার ২৫০ জন মহান সহযোদ্ধা শিক্ষকগণ আমাদের পেজের সাথে যুক্ত হন। আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো যে, বাড়িতে বসে যদি একজন শিশুরও উপকার করতে পারি তাতেই আমরা সার্থক হব। আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের শিশুদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিশুদেরকে যুক্ত করতে পেরেছি আমাদের পাঠদান কার্যক্রমের সাথে। শিক্ষকগণ নিজেদের অর্থ এবং শ্রম দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন শিশুদেরকে বইয়ের সাথে যুক্ত রাখার জন্য। শিক্ষকদের এই ঋন কোন মূল্যেই শোধ হবার নয়। তাই, অনেকদিন ধরেই আমরা ভেবেছিলাম যে একটি মিলনমেলার মাধ্যমে যদি এই শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করতে পারি তাহলে হয়ত সবারই খুব ভালো লাগবে। সেই ভাবনা থেকেই গত ১৯/০৩/২০২১ তারিখে ঢাকা পিটিআইতে " বাংলাদেশ আলোকিত প্রাথমিক শিক্ষক" পেজের ব্যানারে আমরা আয়োজন করেছিলাম  এক উৎসবমূখর মিলনমেলা।


অনুষ্ঠানে #প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন #জনাব ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়া মহোদয়, বিভাগীয় উপপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা, ঢাকা বিভাগ, ঢাকা। #সভাপতিত্ব করেন জনাব সুব্রত কুমার বণিক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কিশোরগঞ্জ এবং প্রধান উপদেষ্টা বাআপ্রাশি পেইজ।

#বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব কামরুজ্জামান কামাল স্যার, সুপারিনটেনডেন্ট ঢাকা পিটিআই এবং উপদেষ্টা বাআপ্রাশি পেইজ।

#জনাব, মোঃ কবির হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক, টিটিসি, ঢাকা এবং সংযুক্ত কর্মকর্তা, এটুআই। 

#জনাব, মির্জা দিদারুল আনাম,প্রভাষক, টিটিসি, ঢাকা। #জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম সুজন ,স্পেশালিষ্ট ইউনিসেফ। #জনাব মোঃ দুলাল মিয়া, ইন্সট্রাক্টর, ইউআরসি ভৈরব, কিশোরগঞ্জ। #জনাব জহুরা খাতুন,

ইন্সট্রাক্টর,ইউআরসি,খেউর, মানিকগঞ্জ। #জনাব হাসান হাফিজুর রহমান, লেকচারার, ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজ। এই মহান অভিভাবকবৃন্দের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।


 শিক্ষকবৃন্দের সার্টিফিকেটগুলোতে স্বাক্ষর প্রদান করেছেন,,,, 

#জনাব কামরুজ্জামান কামাল, সুপারিনটেনডেন্ট,ঢাকা 

পিটিআই এবং উপদেষ্টা, বাআপ্রাশি পেইজ।

#জনাব আনন্দ কিশোর সাহা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, গোপালগঞ্জ এবং উপদেষ্টা, বাআপ্রাশি পেজ।

#জনাব মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, ফরিদপুর এবং উপদেষ্টা, বাআপ্রাশি পেজ।

#জনাব তাপস কুমার অধিকারী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মানিকগঞ্জ এবং উপদেষ্টা, বাআপ্রাশি পেজ।

#জনাব সুব্রত কুমার বণিক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, কিশোরগঞ্জ এবং প্রধান উপদেষ্টা, বাআপ্রাশি পেইজ। এই মহান অভিভাবকবৃন্দের অনুপ্রেরণা এবং সহযোগিতা আমৃত্যু আমাদের অন্তরের মনিকোঠায় চির ভাস্বর হয়ে রবে।


অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে দিনরাত্রি এক করে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন পেজের প্রতিষ্ঠাকালীন এডমিন জনাব অসীম কুমার সেন ( Asim Kumar Sen) স্যার। তাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। শুধু বলব " স্যালুট দাদা"। 


হৃদয় নিংড়ানো আন্তরিকতা দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিষ্ঠাকালীন এডমিন জনাব জাহিদুল ইসলাম পলাশ স্যার, আল আমীন স্যার এবং তাহমিনা আফরোজ আপা। সাধ্যের শতভাগ দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সম্মানিত এডমিন জনাব রেহানা সুলতানা মনি, রতন বসাক,পরশ মাহমুদ, হাজেরা আক্তার,বেনজির হক,তারেক হাসান,ফেরদৌস আহমেদ লিটন, উজ্জল দাম,মল্লিকা কুন্ড,অজয় গোমস্তা,এবং কামরুল হাসান শিমুল স্যার। সাটির্ফিকেট তৈরিতে সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সহযোগিতায় ছিলেন আরো দুইজন প্রতিষ্ঠাকালীন এডমিন জনাব মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ এবং আশরাফুল আলম স্যার। চমৎকার সঞ্চালক এবং প্রতিষ্ঠাকালীন এডমিন জনাব এস এস রাব্বী ( S. M. Rabbe) স্যার, রূপা মল্লিক রুপু এবং জান্নাতুল ফেরদৌসীর সঞ্চালনা অনুষ্ঠানটিকে অনন্য মাত্রা দিয়েছে। রেহানা সুলতানা মনি আপার সঞ্চালনায় ও পরিকল্পনায় এবং শিক্ষকদের পরিবেশনায় চমৎকার একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমরা উপভোগ করেছি। সবার প্রতি রইল নিরন্তর শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা। 


সর্বোপরি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ১৮০ জন শিক্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বলেই এই কর্মযজ্ঞ আমরা সফল করতে পেরেছি। আমাদের এই মহান সহযোদ্ধা সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দের রইল অতল শ্রদ্ধা। আপনারা সাথে ছিলেন বলেই আমরা শেষ পর্যন্ত পেরেছি। 


অনুষ্ঠানটি নিয়ে আমার মনে সবসময় দুঃশ্চিন্তা কাজ করেছে। বারবার ভেবেছি যে " শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক মতন হবে তো!!"। আমার ঈশ্বর জানেন যে সেই মানসিক চাপের সময় তাকে কতবার স্মরণ করেছি। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার মতন অসহায় মনে হয়েছে নিজেকে। এই রকম আয়োজনের সাথে আগে কখনো যুক্ত হইনি। তাই এই আয়োজনের সমস্ত কার্যক্রমে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে সেই দায় সমস্তই আমার। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটিগুলো সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, আশা করি। অনুষ্ঠানের সমস্ত সফলতা সকল সম্মানিত শিক্ষকদের। আপনাদের এই ঋণও কোনদিন শোধ হবেনা। এভাবেই পারষ্পরিক সহযোগিতায় এগিয়ে যাবে প্রাথমিক শিক্ষা, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ❤️।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি