Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

১০ এপ্রিল, ২০২১ ১১:৪৮ অপরাহ্ণ

আলোকিত মানুষ চাই, আলোকিত সমাজ চাই


মোহাম্মাদ আবু সাইদঃ আলোকিত মানুষ চাই আলোকিত সমাজ চাই এধরনের স্লোগান আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায়ই শুনতে পাই। তেমনি সাহিত্যপ্রেমী কবি সাহিত্যিক, সমাজ হিতৈষী, বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা তাদের লেখনির মাধ্যমে এবং রাজনীতিকরা বক্তৃতা বিবৃতিতেও প্রায়ই বলে থাকেন। অনেকেই আলোকিত মানুষ, আলোকিত সমাজ গড়ার কাজে নিরলসভাবে নীরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার ফলও আমরা তথা পুরো মানব সমাজ ভোগ করছে। তবে, এখানে উল্লেখ্য যে, আলোকিত সমাজ গড়তে হলে সমাজে বসবাসকারী মানুষগুলোকে প্রথমে আলোকিত করা জরুরি। তবেই আলোকিত সমাজ সৃষ্টি সম্ভব। আর আলোকিত মানুষ গড়ার একমাত্র বাহন বই। জ্ঞানী গুণীদের রচিত বই পড়ার মধ্যদিয়ে মানুষ নিজেদের মনের ভেতরের কলুষতা এবং অন্ধকারচ্ছন্নতা দূর করতে পারে। বই পড়া এবং বইয়ের রসাস্বাদন করে ভেতরের মানুষটাকে জাগিয়ে তুলতে পারে। আবেগের বশবর্তী না হয়ে ক্রমে মানুষ যুক্তিনির্ভর হয়ে উঠে। যুক্তি নির্ভরতা ছাড়া সমাজ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে, বাড়ে স্বার্থের দ্বন্দ্ব, স্বার্থের দ্বন্দ্বের কারণে হানাহানি, মারামারি, কাটাকাটি ইত্যাদির প্রাদুর্ভাব ঘটে। মানুষের মনের কলুষতা, মানুষের মাঝে যত অন্ধকার তা দূর করে আলোর দিকে ধাবিত করা এবং সমাজের ভারসাম্যহীনতা নিরসনে বই পড়ার বিকল্প নেই। কিন্তু বই কেনা আর বই পড়া নিয়ে বাঙালিদের একটা বদনাম দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। এই বদনাম ঘুচাতে এবং নিজেদের ভেতর অনন্য এক ভুবন তৈরী করতে সাহিত্য, ইতিহাস, অর্থনীতি, রাজনীতি, দর্শন, ভূগোল, ব্যবসা–বাণিজ্য সংক্রান্ত হরেক রকম বইয়ের সমাহার ঘটিয়ে মনের ক্ষুধা মিটাতে অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে, অনেকেই আবার সমষ্টিগত উদ্যোগে নিজেদের ঘরে অথবা পাড়া মহল্লায় গড়ে তুলেছে লাইব্রেরী ও পাঠাগার। এমনকি পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠা ক্লাব, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর মধ্যে বই পড়ার সুবিধার্থে ছোট্ট পরিসরে হলেও একটা পাঠাগার গড়ে তুলেছে। পাড়া মহল্লায় পাঠাগার, লাইব্রেরী গড়ে তোলে বই পড়া, সাংস্কৃতিক চর্চা তথা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মধ্য দিয়ে এলাকার শিশু কিশোরদের মাঝে লুকিয়ে থাকা মেধার চর্চা, প্রতিভার বিকাশ ও উৎকর্ষতার প্রণোদনা দেয়ার ব্যাপারে সরকারও মাঝে মধ্যে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়ে থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও দেশের মানুষের মাঝে পড়ার অভ্যাস সৃষ্টি করার লক্ষে সারা বছরব্যাপী দেশের বিভিন্ন স্থানে বইমেলা, পুস্তক প্রদর্শনী এ ধরনের কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে।


প্রতিটি মানুষ মনে করে মনের ভেতরের অন্ধকারচ্ছন্নতা দূর করে সকল কুসংস্কারকে ভেদ করে নিজেকে এবং সমাজকে আলোকিত করার মাধ্যমে একটা সুন্দর পরিশীলিত সমৃদ্ধ সমাজ গড়া সম্ভব। আলোকিত মানুষ গড়া, আলোকিত সমাজ বিনির্মাণ, সত্য ও সুন্দরের দিকে পথচলার পথিকৃত হিসেবে এদেশে যদি কারো সম্মান মর্যাদা দিতে হয় তা হলে সেই একমাত্র ব্যক্তি তিনি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। দীর্ঘদিনের শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতা, বই পড়া, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের মনের কথা উপলব্ধি করে তিনি আলোকিত মানুষ গড়া, আলোর পথে মানুষকে ধাবিত করার মানসে প্রথমে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র এবং পরবর্তীতে বইকে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেয়ার উপায় হিসেবে বই পড়া নিয়ে এদেশে ব্যতিক্রমী এক দর্শন এবং উপায় উদ্ভাবন করেছেন যার নাম ‘ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী’। দেশের বড় বড় শহরগুলোতে নিয়মিত চোখে পড়ে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী যার কাজ হচ্ছে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতি এবং বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে আগ্রহ সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আলোকিত করা। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বিশ্বাস করেন “বাস্তবের আগুন থেকে জন্ম নেওয়া আলোর দাহ যাকে স্পর্শ করবে সে–ই আলোকিত পৃথিবীর জন্য জীবনকে উদ্বুদ্ধ করবে। সৌন্দর্য আর দায়িত্ববোধের উপলব্ধি কোন অবাস্তব পৃথিবীর স্বপ্ন নয়। মানুষের শক্তি আর স্বপ্ন এক সঙ্গে জ্বলে উঠলেই কেবল এদেশ থেকে নৈরাজ্য দূর হবে। আর মানুষের আলোকিত চৈতন্যকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে একমাত্র বই”। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র শুধু শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করে তার কাজ শেষ করেনা। বই পড়া, পঠিত বই নিয়ে আলোচনা, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি সৃজনশীল কাজে উৎসাহ আর অনুপ্রেরণার জন্য পাঠকদের সময়ে সময়ে পুরস্কৃত করার আয়োজন করে থাকে।


সেদিন চট্টগ্রামের হালের এক অভিজাত বই বিপণি কেন্দ্রে গেলাম। আগেও যে যাইনি তা না। এই বিপণি কেন্দ্রের সবচেয়ে ভাল দিকগুলোর মধ্যে একটি হল এই বিপণি কেন্দ্রে বই কেনার পাশাপাশি বসে বই পড়ার সুযোগ রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন বয়সী অনিসন্ধিৎসু পাঠক পাঠিকা বসে বসে নিজেদের পছন্দমত বই পড়ছে। ফাঁকে ফাঁকে বইয়ের বিষয় আসয় নিয়ে একে অন্যের সাথে অনুচ্চ স্বরে আলাপ করছে। বই বিপণিতে বইয়ের ক্রেতা, পাঠকের সুবিধার্থে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক বইগুলো আলাদা করে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পাঠকেরা পছন্দমত বই পছন্দ করে কেউ কিনছেন আবার অনেককেই সেলফ থেকে পছন্দের বই নিয়ে খালি জায়গায় বসে পড়ছেন। অনেকেই দেখা যায় দুনিয়ার সব রাজ্যের কথা ভুলে মনোযোগ সহকারে বইয়ের ভুবনে ডুব দিয়েছেন। এক কর্নারে রসনা বিলাসের ব্যবস্থাও করা আছে। খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে বই নিয়ে অথবা লেখাকে নিয়ে আলোচনা করতেও দেখা যায়। অন্তত চট্টগ্রাম শহরে এধরনের ব্যতিক্রমি বই বিপনি কেন্দ্র কয়েক বছর আগেও আমার চোখে পড়েনি। এমনকি একসময় দেশী বিদেশী বইয়ে সমৃদ্ধ দেশের রাজধানী ঢাকার নিউ মার্কেট, বাংলা বাজার এলাকা বর্তমানের আজিজ সুপার মার্কেটের লাইব্রেরীর কোথাও না। একসময় চট্টগ্রামের নিউ মার্কেটেও বেশ সমৃদ্ধ বইয়ের লাইব্রেরী ছিল তাতেও এমন দৃশ্য দেখা যায়নি। যারা এ ব্যতিক্রমী বই বিপণি কেন্দ্রে প্রচলন করেছেন তারা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন অন্তত পাঠক এবং বই প্রেমীদের নিকট। এখানে গেলে প্রতিটি মানুষের মন ভাল হয়ে উঠার কথা, যেহেতু সেখানে হাল নাগাদ দেশ বিদেশের ইতিহাস, রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, নৃতত্ত্ব, জীবনচরিত, ধর্ম দর্শন, স্থাপত্য, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ে নতুন নতুন বই পাওয়া যায়। আরো মেলে বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত বিভিন্ন বিষয়ে ম্যাগাজিন, জার্নাল, পিরিওডিক্যালস ইত্যাদি। সেহেতু, ছাত্র শিক্ষক এবং বই প্রেমীদের এক নতুন মিলনস্থল বা মিলনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এই বই বিপণি কেন্দ্র। অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা, নতুন মনোজগত তৈরির যেন এক বিচিত্র কারখানা। বই বিপণি কেন্দ্রটিতে ভেতরে গেলে যে কেউ অবাক না হয়ে পারবেনা যেহেতু, প্রতিটি বিষয়ের বই যেমনিভাবে আলাদা আলাদা তাক এ সাজিয়ে রাখা হয়েছে তেমনি রয়েছে নির্বাচিত লেখক, প্রকাশক, লিটল ম্যাগাজিন ও সাহিত্য সাময়িকী, শিশু কিশোর এবং ক্যাফে নামক প্রভৃতি আকর্ষণীয় কর্ণার। ২০০৫ সালে এই ব্যতিক্রমী যাত্রা শুরু করে দিব্যি বইয়ের প্রতি ভালবাসা ও পাঠক সৃষ্টির কার্যক্রম ক্রমবর্ধমানগতিতে দেশের অন্যান্য স্থানেও বিস্তার লাভে সহায়তা করছে।


সেদিন অনেক পাঠক ক্রেতাদের ভীড় ঠেলে যখন আমার পছন্দের বিষয়ের বই খুঁজতে ব্যস্ত তখন পাশে তিনজন কি যেন বলাবলি করছিলেন। একজন বলে যাচ্ছিলেন অন্য দু’জন মুগ্ধ শ্রোতা হিসেবে শুনছিলেন। তাঁদের আলাপের বিষয়টি ছিল জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে নিয়ে। জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের কথা শুনে আমিও একটু কান লাগালাম। এই এক অন্যরকম ভাল লাগা। বিশিষ্ট লেখক প্রয়াত আহমদ ছফা তাঁর ‘যদ্যপি আমার গুরু’ বইয়ে এবং প্রয়াত অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ আশির দশকে সাপ্তাহিক ‘রোববার’ এ যেভাবে জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে উপস্থাপন করেছেন এবং তাঁর সম্পর্কে নানাবিধ কথাগুলো তুলে ধরেছেন তা যেন পড়েও শেষ করা যায় না এমনকি আরও শুনতে এবং জানতে ইচ্ছে করে। বিশিষ্টজনেরা রাজ্জাক স্যার সম্পর্কে বলেন, “রাজ্জাক সাহেবকে বাঙালি মুসলমান সমাজের ঐতিহাসিক অহংবোধের প্রতীক বললে অধিক হবে না”। অন্য এক জায়গায় “ঊনিশশো তিরিশ সালের পর যে বুদ্ধিজীবী শ্রেণীটি বাংলার মুসলমানের আশা আকাঙক্ষার ধারক বাহক হয়ে উঠেছিল, রাজ্জাক সাহেব ছিলেন তাঁদের মধ্যে সবচাইতে শাণিতদের মধ্যে বিশিষ্ট একজন।”


আহমদ ছফা তাঁর ‘যদ্যপি আমার গুরু’তে যেভাবে তাঁকে বিধৃত করেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই রাজ্জাক স্যার ছিলেন তলহীন এক জ্ঞানের সাগর। রাজ্জাক স্যার সম্পর্কে বলেও যেন শেষ হয় না।


বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও লেখক প্রমথ চৌধুরী তাঁর ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে “আমাদের স্কুল কলেজের শিক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছিলেন তার থেকে আমরা এবং আমাদের সমাজ এখনো মুক্ত হয়ে প্রতিটি মানুষের মনে যে সুপ্ত প্রতিভা বিরাজ করছে তা উন্মুক্ত করে দেয়ার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি”। তাই প্রমথ চৌধুরী সেদিন যেমনিভাবে লাইব্রেরীর সার্থকতা হাসপাতালের চেয়ে কিছু কম নয় বলে উল্লেখ করেছিলেন তার প্রাসঙ্গিকতা এখনো বিদ্যমান। আমার দৃঢ় বিশ্বাস চট্টগ্রাম শহরের পড়ুয়া শিশু কিশোর যুবক–যুবা এবং বয়সী লোকদের বইয়ের প্রতি অদম্য আগ্রহের কথা ভেবে মানুষের আলাদা এক মনোগজত সৃষ্টি বিশেষ করে মানুষের মনের অভ্যন্তরস্থ দৃষ্টির প্রসার ঘটানোর সুবিধার্থে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ভবনের নীচে ‘বাতিঘর’ নামক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা যে মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি যে বিশাল হৃদয়ের এবং প্রকৃতপক্ষে আলোকিত মনের অধিকারী তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। বই কেনা আর পড়ার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে উদ্যোক্তারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা এক যুগান্তকারী মহতি উদ্যোগ এবং যে চট্টগ্রামে গৌরবান্বিত করার আরেকটি পালক সংযোজন করেছেন।


আরো চোখে পড়ল অবাক করা এক কাণ্ড! বইপ্রেমি এক মা এসেছেন তাঁর দু’শিশু সন্তানকে নিয়ে। মা নিজের পছন্দের বই খুঁজছিলেন বইয়ের তাক এ। অন্যদিকে সাড়ে তিন বছর আর সাড়ে চার বছর বয়সী শিশুরা বইয়ের তাক থেকে সুন্দর ছবিওয়ালা মলাটের বই বের করে মাকে যেন কি বলছিল। এভাবে মা রা যদি তাঁদের সন্তান সন্ততিদের নিয়ে নিয়মিত আসা–যাওয়া করেন এবং ছেলে মেয়েদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে একটু নজর দেন তাহলেই প্রতিটি মানুষ ও সমাজের ভেতরের এবং বাহ্যিক অবয়ব একদিন না একদিন পরিবর্তন হবেই হবে। এই মাকে দেখে এবং মা’র কথা ভেবে আমার মনে পড়ে গেল নেপোলিয়ান বোনাপোটের সেই “আমাকে একটা ভাল মা দাও আমি তোমাদের একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ জাতি দেব” উক্তিটি। আমার মনে হয়েছে ভবিষ্যতে এই মা–রাই সাহিত্য সংস্কৃতিতে এ জাতি ও দেশের ভবিষ্যৎ উন্নতি এবং সমৃদ্ধির মূল অনুঘটক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দেশের বিভাগীয় জেলা শহরগুলোতে এভাবে যদি ‘বাতিঘর’ সৃষ্টি ও প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় তবে নির্দ্বিধায় বলতে পারি এ ধরনের আরো অসংখ্য মা সন্তান ও ছেলে মেয়েদের নিয়ে আলোর পথে এগিয়ে আসার সুযোগ পাবেন এবং আলোকিত মানুষ ও সমাজ গড়ার প্রয়াসী হবেন। দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি সমাজকে নিয়ে আমরা যখন দোলাচলে ভুগি, মাঝে মধ্যে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ি তখন সাড়ে তিন বছর আর সাড়ে চার বছরের শিশুদের লাইব্রেরীতে আনাগোনা এবং সুন্দর ছবি দেখে বই নেয়ার আগ্রহ দেখে মন থেকে সমস্ত হতাশা ঝেড়ে ফেলে দেশকে তথা বিশ্বকে নতুন করে সাজাবার স্বপ্নে বিভোর হোক।