গত ২১ জানুয়ারি তিন মাসের ছুটিতে দেশে আসেন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কাঞ্চনপাড়া গ্রামের মামুন তালুকদার। তাকে কর্মস্থল সৌদি আরবের মদিনায় ফিরতে হবে ২১ এপ্রিলের মধ্যে। শুক্রবার রাতের ফ্লাইটে তার টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু চলমান 'সর্বাত্মক লকডাউনে' বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ায় যেতে পারেননি। শনিবার থেকে বিদেশগামীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট চলবে- এ খবরে শুক্রবার রাতে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন মামুন।

নড়িয়া থেকে মোটরসাইকেলে গোসাইরহাট, সেখান থেকে সবজিবাহী ট্রলারে চাঁদপুর যান মামুন। তারপর আরেক প্রবাসীর সঙ্গে চার হাজার টাকায় প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকায় পৌঁছেন। কিন্তু সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ে এসে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেননি, কোন ফ্লাইটের টিকিট পাবেন তিনি। আরও কয়েকশ বিদেশগামীর মতো ইফতারের আগে অপেক্ষায় ছিলেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সোনারগাঁও হোটেলের অভ্যন্তরে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের কার্যালয় চত্বরে। টিকিট হাতে পেলে ছুটতে হবে করোনা পরীক্ষার জন্য।

মামুনের মতো ২৫ থেকে ৩০ হাজার বিদেশগামী কর্মী একই রকম ভোগান্তিতে পড়েছেন লকডাউনের প্রথম তিন দিন বিমান চলাচল বন্ধ রাখায়। তাদের দাবির মুখে গতকাল শনিবার থেকে বিশেষ ফ্লাইট চালু হলেও প্রথম দিনেই বিপর্যয় ঘটেছে। ১৪টি ফ্লাইটের সাতটিই বাতিল হয়েছে। ভিসার মেয়াদ নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকা বিদেশগামীরা গত বছরের মতোই ভোগান্তিতে পড়েছেন। রাতভর তারা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করেন। পরে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ হয়েছে মতিঝিলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কার্যালয় এবং সৌদিয়া এয়ারলাইন্স কার্যালয়ের সামনে।

সূত্র দৈনিক শিক্ষা।