Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২৬ মে, ২০২১ ০৮:৩৯ অপরাহ্ণ

সামুদ্রিক মাছ
img
Anil Kumar Nath

সিনিয়র শিক্ষক

সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ মিঠা পানির মাছের তুলনায় অনেক গুন বেশি। আমাদের দেশে সারা বছরই বাজারে বিভিন্ন জাতের সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। সামুদ্রিক মাছ উচ্চ-প্রোটিন সমৃদ্ধ, এবং এতে ক্ষতিকারক ফ্যাট নেই বললেই চলে। প্রজাতি ভেদে সামুদ্রিক মাছের স্বাদ ভিন্ন হয় কিন্তু পুষ্টিগুণ বিচারে সব সামুদ্রিক মাছই অনন্য। সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি থাকে যা একাধিক জটিল রোগ থেকে আমাদেরকে  দূরে রাখে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে শরীরের গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে সামুদ্রিক মাছে। সামুদ্রিক মাছ হার্ট-এটাক, স্ট্রোক, স্থুলতা এবং উচ্চ-রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক গঠনে সামুদ্রিক মাছ দারুন ভূমিকা পালন করে।

আসুন এবার বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই সামুদ্রিক মাছের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে-

হৃদরোগ প্রতিরোধ করে
সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ নামক ফ্যাটি এসিড যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এই ফ্যাটি এসিড হৃদরোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
বেশিরভাগ সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন এ ও ডি থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সামুদ্রিক মাছ খুবই উপকারী।

ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি করে
নিউরোলজিস্টদের মতে শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকলে ব্রেনের বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিট  থাকে। আর এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রেটিনার কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করার মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

রোগ প্রতিরোধ
সামুদ্রিক মাছ মানুষের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে নানা রোগ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। এতে জিংক ও আয়োডিন আছে। জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আয়োডিন গলগণ্ড রোগ প্রতিরোধ করে।

জয়েন্ট পেইন সারাতে
রিউমাটয়েড আর্থাইটিসে আমাদের অস্থিসন্ধীগুলো ব্যাথাসহ ফুলে যায়। রেগুলার সামুদ্রিক মাছ খেলে রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের উপসর্গ কমে আসে।

সহজে হজমযোগ্য আমিষ
সামুদ্রিক মাছের আমিষ সহজে পরিপাকযোগ্য। এ ছাড়া দেহের বৃদ্ধি ও ক্ষয়রোধে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন বি-এর উৎকৃষ্ট উৎস। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছের আমিষ ও তেল দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিসে উপকারী
ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখতে পারেন। এতে তাদের এ রোগ নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হবে।

তাছাড়া সামুদ্রিক মাছে থাকে আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিংক এবং পটাশিয়ামসহ অনেক অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের জন্যে আয়োডিন অত্যাবশ্যকীয়, এবং সেলেনিয়াম একধরণের এনজাইম তৈরি করে যা আমাদেরকে ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচায়। এ ছাড়াও সিলোনিয়াম শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।

#Daily Share

#News

#ViralHealth

#Health Tips

#India

Dailyhunt
Disclaimer: This story is auto-aggregated by a computer program and has not been created or edited by Dailyhunt. Publisher: i-Newz

আরো দেখুন