Loading..

শিক্ষাক্রম অভিজ্ঞতা

২৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরি

বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠী ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশি ব্যবহার করছে। এই তরুণদের একটা ছোট্ট অংশকে অনেক সময়ই বিপথগামী করে তোলা হয় ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে, ভুল মতাদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে। এর ফলে, তাদের মধ্যে দেখা যায় সহিংস উগ্রবাদিতা।  


তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে এটুআই প্রোগ্রাম, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট ও উন্নত দেশে পরিণত করার কৌশলগুলোর পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে কাজ করছে। মূলধারার প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার, ওয়েবিনার মাধ্যমে নাগরিকদের মাঝে বিভিন্ন সচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করতেও প্রকল্পটি কাজ করছে। এই প্রকল্পের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক মহোদয়, জনাব নাহিদ সুলতানা মল্লিক অস্ট্রেলিয়ান সরকার কর্তৃক আয়োজিত "Using Social Media to Counter Radicalism" বিষয়ক একটি কোর্সে অংশগ্রহণ করেছেন। কোর্স পরবর্তী কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও এটুআই প্রোগ্রামের সহযোগিতায় আজকের কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়েছে।

 এই কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষক-ছাত্র, তরুণ প্রজন্ম, জনপ্রতিনিধি এবং সর্বস্থরের মানুষের মাঝে উগ্রবাদ/সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনতাবোধ তৈরি করা ও নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক দিকগুলো অবগত করে এর ইতিবাচকভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত করা।


 রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়িত করার জন্য এবং ২০৩০ SDG লক্ষ্য পূরণ করতে উগ্রবাদ/সহিংসতার বিরুদ্ধে "জিরো টলারেন্স" নীতি নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও পরিবার যদি ব্যক্তির আচরণের ক্রমাগত পরিবর্তনসমুহ নজরদারি করে, তাহলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। উগ্রবাদ/সহিংসতার মতো সামাজিক ব্যাধি নির্মূল করতে হলে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা ছাড়া উপায় নেই।


আরো দেখুন