
শিক্ষক বাতায়নের হাত ধরে সফল ও স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য নারী হয়ে ওঠার গল্প

আমি নাহিদাল আরজিন, সহকারী শিক্ষক, বদ্দীপুর বহলাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা সদর, সাতক্ষীরা। ২০০১ সালে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার রাউতাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম যোগদান করি। তখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে ভর্তি হয়েছি সবে। কর্মস্থল প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিধায় অনার্স শেষ করতে পারিনি। ২০০২ সালে সি-ইন-এড কোর্স সম্পন্ন করি। পরে বি এস এস এবং বি এড কোর্সে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হই।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানতে পারি শিক্ষক বাতায়ন সম্পর্কে। এটুআই কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের শিক্ষকদের সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম
শিক্ষক বাতায়ন ওয়েবসাইটে সদস্য হিসেবে নিবন্ধন
করি। ২০২১ সালে এটুআই থেকে সাতক্ষীরা জেলার আইসিটি অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত
হই। শুরু হয় আমার বাতায়নের আকাশে ভেসে বেড়ানোর স্বপ্ন। কনন্টেন্ট তৈরি করতে
করতে অবশেষে সফলতা ধরা দেয় ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম পাক্ষিকে সেরা
কন্টেন্ট নির্মাতা হই।
বিদ্যালয়ের উন্নয়নের পাশাপাশি পেশাগত উন্নয়নে আমি
সর্বদাই সক্রিয়। ১৪ দিনের আইসিটি প্রশিক্ষণসহ মুক্তপাঠ এবং
দেশ বিদেশের অনেক অনলাইন পোর্টাল থেকে নানা প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে দক্ষ একজন
শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাইক্রোসফট ইনোভেটর এক্সপার্ট এডুকেটরের স্বীকৃতি পেয়েছি। কাহুট এক্সপার্ট, ওয়েকলেট অ্যাম্বাসেডরের স্বীকৃতি পেয়েছি
বাংলাদেশ সরকারের মহিলা অধিদপ্তরের আওতায় "জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ"
শীষক কর্মসূচির শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে
সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে ২০২৪ সালের ৯ই ডিসেম্বর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্টত্ব অর্জন করি
এবং জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে বেগম রোকেয়া
পুরস্কার গ্রহণ করি।
২০২৫ সালের ২৩ই ফেব্রুয়ারিতে খুলনা বিভাগীয়
অদম্য নারী পুরস্কার গ্রহণ করি। স্কাউটিং কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থেকে কাব ইউনিট লিডারের দায়িত্ব পালন করছি। পাশাপাশি হলদে পাখির বিজ্ঞ পাখির দায়িত্ব পালন
করছি। ২০২৫ সালে আমার টিম নিয়ে ভারতের
মধ্যে প্রদেশে সাতদিনের এ্যাডভান্স কোর্সে যোগদান করার সুযোগ পেয়েছি।
আমি ২০২২ইং সালে এবং ২০২৪ ইং সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শ্রেষ্ট শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হই।
আর নামানাবিধ কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ আমার বিদ্যালয় 2024 সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শ্রেষ্ট বিদ্যালয়ের সুনাম অর্জন করেছে। আমার বিদ্যালয় আমার অহংকার, আমার শিক্ষার্থীরা
আমার গর্ব।এটুআই
এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি আজীবন ঋণী এবং কৃতজ্ঞ থাকব।